muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

অর্থনীতি

বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে প্রকল্প অনুমোদন

power_grid

এর মধ্যে ‘বাংলাদেশ (ভেড়ামারা) – ভারত (বহরমপুর) বিদ্যমান গ্রিড আন্তঃসংযোগের ক্ষমতা বর্ধিতকরণ প্রকল্প’ এর ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪০৫ কোটি টাকা। আর ত্রিপুরা (ভারত)- কুমিল্লা (দক্ষিণ উপকেন্দ্র, বাংলাদেশ) গ্রিড আন্তঃসংযোগ প্রকল্পে’ ১৭৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ দুই প্রকল্পসহ ৫২ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকার ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন পায়।

সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতেই প্রকল্প দুটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”

ভেড়ামারা-বহরমপুর গ্রিড আন্তঃসংযোগের প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রকল্প সাহায্য হিসাবে দেবে ৯৪৫ কোটি টাকা। বাকি ৪৬০ কোটি টাকা সরকার যোগাবে। আর ত্রিপুরা-কুমিল্লা প্রকল্পের পুরো অর্থ সরকার বহন করবে।

কার্যপত্রে বলা হয়েছে, ভেড়ামারা-বহরমপুর গ্রিড আন্তঃসংযোগ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা।

এ প্রকল্পের আওতায় ১২ কিলোমিটার ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন (রিডার ক্রসিংসহ) লাইন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ভেড়ামারায় নির্মাণ করা হবে ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক-টু-ব্যাক উপকেন্দ্র।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

আর ত্রিপুরার পালটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে কুমিল্লা উপকেন্দ্রের মাধ্যমে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে ত্রিপুরা-কুমিল্লা গ্রিড অন্তঃসংযোগ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে এর কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ প্রকল্পের আওতায় ৪৩ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন বসানো হবে; যা ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে পিজিসিবি।

বর্তমানে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার রামকৃষ্ণপুরে বাংলাদেশ-ভারত সঞ্চালন কেন্দ্রের মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবারের সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য চার প্রকল্প হচ্ছে- ৫১ হাজার ৮২ কোটি টাকার স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচি (এইচপিএনএসডিপি) প্রকল্প; ৪০ কোটি টাকার শ্রীমঙ্গল বিসিক শিল্প নগরীপ্রকল্প; ৩৫ কোটি টাকার রৌমারী-তুরা স্থলবন্দর সড়ক নির্মাণ প্রকল্প এবং ৩৬ কোটি টাকায় সাত বিভাগের ৬৩টি উপজেলায় কুচে ও কাঁকড়া চাষ ও গবেষণা প্রকল্প।

স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচির প্রকল্পটি একটি সংশোধিত প্রকল্প। ২০১১ সালের জুলাইয়ে একনেকের সভায় ৫৬ হাজার ৯৯৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকার এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ বছর পর ব্যয় কমিয়ে ৫১ হাজার ৮২ কোটি ৪১ লাখ টাকায় নামিয়ে আনা হল।

এর মধ্যে সরকার দেবে ৩৯ হাজার ৭৪৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। প্রকল্প সাহায্য হিসাবে আসবে ১১ হাজার ৩৩৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

Tags: