muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

রাজনীতি

খালেদা এখনো অবরুদ্ধঃ এমাজউদ্দিন

Khaleda+office

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি নেতাদের প্রচারের দায়িত্বে থাকা ‘শত নাগরিক কমিটি’র প্রধান এমাজউদ্দিন শুক্রবার রাজধানীতে এক সভায় একথা বলেন।

বিএনপিপন্থি এই পেশাজীবী নেতা বলেন,

“এখনও দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ আছেন।”
Emazuddin_DRU

পুলিশি বাধায় গত ৫ জানুয়ারি কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হয়ে সারা দেশে অবরোধ ডেকে গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কয়েকদিনের মাথায় কার্যালয় থেকে পুলিশি ব্যারিকেড সরানো হলেও গত তিন মাস ধরে সেখানেই আছেন তিনি।

এরইমধ্যে জিয়া ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে আদালতে যাওয়ার জন্য খালেদার প্রতি আওয়ামী লীগ নেতারা আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া মেলেনি।

দৃশ্যত ওই কার্যালয় থেকে বেরোতে অনাগ্রহী বিএনপি নেত্রী একুশে ফেব্রুয়ারি ও স্বাধীনতা দিবসেও শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনার ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাননি। এ নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে তার।

এরইমধ্যে তাকে ওই কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন তার অন্যতম পরামর্শক এমাজউদ্দিন আহমেদ।

সিটি নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগের জন্য বিএনপি নেতাদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যেরও সমালোচনা করেছেন তিনি।

এমাজউদ্দিন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সংসদে বক্তব্যে বলেছেন- তিনি ‘সমতল’ বিষয়টি বুঝতে পারছেন না। তার বক্তব্যের উত্তরে বলব- একজন ভোটার যখন নিজের ইচ্ছেমত নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন, একজন প্রার্থী যখন নির্বিঘ্নে ভোটারদের কাছে যেতে পারবেন, সভা-সমাবেশ করতে পারবেন সেটা হবে নির্বাচনের সমতল মাঠ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে কোনো এলাকায় কোনো প্রার্থীকে বাধা না দেয়।”

গত তিন মাসের অবরোধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও হাতবোমা বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নাশকতার এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতাদের অনেককে আসামি করা হয়েছে।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বিএনপির এই নেতাদের অধিকাংশই এখনো প্রকাশ্যে বের হননি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিন বলেন, “চরম দুঃসময়েও খালেদা জিয়া সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে সায় দিয়েছেন।

“এই নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনার মাধ্যমে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে হবে।”

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘জিয়া কল্যাণ পরিষদ’ আয়োজিত ও আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার অনৈতিক ও জনসমর্থনহীন। গণতন্ত্রের পক্ষের প্রার্থীদের পক্ষে শত নাগরিক কমিটির লোকেরা ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে যাবে।

“শুধু শত নাগরিক কমিটির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সমাজের গণতন্ত্রকামী সব পক্ষকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। চট্টগ্রামে ৫০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হয়েছে, ঢাকায় প্রয়োজনে এক হাজার এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করতে হবে।”

এই নির্বাচন সরকারবিরোধী আন্দোলনের সুযোগ বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাবেক অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ।

“নির্বাচনের মাধ্যমে তিন সিটি করপোরেশনকে নিজের দখলে আনতে হবে। বিজয় নিশ্চিত করতে না পারলে সামনে আরও ভুগতে হবে। কোথাও কোনো অন্যায় চিহ্নিত হলে তা সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। তরুণদের এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে,” বলেন তিনি।

জিয়া কল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক রাহিজা খানম ঝুনুর সভাপতিত্বে সিটি নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।

Tags: