বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১১ টার দিকে তিনি দেশে ফিরলে ইতি ঘটে অন্তরাল বিতর্কের। রাহুলের অন্তরালে চলে যাওয়া নিয়ে দিল্লিতে গত দু’মাস ধরে ঘুরেছে নানা প্রশ্ন।
সংসদের বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিনে থেকেই তিনি ছিলেন লাপাত্তা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে রাহুল কোথায়, কী কাজে গেছেন তা নিয়েঅন্ধকারে ছিলেন কংগ্রেসের অনেক ওপর সারির নেতারাও।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল রাহুল আপাতত ছুটিতে। কিন্তু বাজেট অধিবেশনের সময়টিতে তার এমন ছুটিতে যাওয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি)প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কংগেসকে।
শেষমেষ বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কক থেকে আসা থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমান থেকে দিল্লিতে নামেন রাহুল।এরপর চলে যান তুঘলক রোডে তার সরকারি বাসভবনে।সকাল থেকে এখানেই অপেক্ষা করছিলেন তার মা সোনিয়া ও বোন প্রিয়াঙ্কা । তার ঘরে ফেরার খবরে বাসভবনের সামনে ভিড় জমায় বহু মানুষ।ঢাক-ঢোল বাজিয়ে আনন্দও করে তারা।
লোকসভা ভোটে বিজেপি’র প্রবল উত্থানের জোয়ারে প্রায় প্রতিটি রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় বর্তেছিল রাহুলের ঘাড়েই। ছুটি কাটিয়ে নতুন রণকৌশল নিয়ে রাহুল ফের জনসম্মুখে আসবেন এমনটাই আশা দিয়েছিলেন কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা।
প্রায় দু’মাস পর তিনি কি কৌশল নিয়ে এলেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ/ এম ইউ আহমেদ