muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

অর্থনীতি

লাখ কোটি টাকার নতুন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)

govt+adp

এরমধ্যে মূল এডিপির আকার হচ্ছে ৯২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনগুলোর নিজস্ব অর্থে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের জন্য প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কমিশনের সভায় বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের এই এডিপি চূড়ান্ত করা হয়।

১৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় নতুন এডিপি অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।

কমিশনের সভার কার‌্যপত্রে বলা হয়েছে, নতুন অর্থবছরের এডিপির জন্য প্রস্তাবিত এ আকার চলতি অর্থবছরের মুল এডিপির তুলনায় ১২ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা বা ১৫ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। আর সংশোধিত এডিপির তুলনায় ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বা ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি।

নতুন এডিপিতে স্থানীয় মুদ্রায় যোগান দেওয়া হবে ৫৮ হাজার কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর ৩৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বা ৩৭ দশমিক ৩০ শতাংশ প্রকল্প সাহায্য হিসেবে আসবে বলে প্রস্তাব করা হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি ছিল ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারি অর্থায়ন ছিল ৫২ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা (৬৫ দশমিক ৫১ শতাংশ)। আর প্রকল্প সাহায্য ছিল ২৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা (৩৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ)।

বাস্তবায়ন সন্তোষজনক না হওয়ায় পরে তা কমিয়ে ৭৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের এডিপিতে সরকারের বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে চলমান প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সবমিলে নতুন এডিপির আকার হবে ৯৬ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯২ কোটি টাকা।

নতুন এডিপিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পদ্মাসেতুর গুরুত্ব বিবেচনায় পরিবহণ খাতে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা (২২ শতাংশ) বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

যার মধ্যে পদ্মা সেতুর জন্য সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের এডিপিতে পদ্মা সেতুর জন্য আট হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। এ খাতে ১৫ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা (১৭ শতাংশ) বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৪৫৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

শিক্ষার প্রসার ও গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা ও ধর্ম খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার ৩৯ কোটি টাকা (১১ শতাংশ)।

গ্রামীণ অর্থনীতির গতি বাড়াতে পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৪৩৪ কোটি (৯ দশমিক ১২ শতাংশ)।

স্বাস্থ্য খাতে দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৮১ কোটি টাকা।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কৃষি খাতে ৪ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) মূল এডিপির ৪৪ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।

Tags: