muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার, দেখলেন কিম

kim+jong+un

শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) এক প্রতিবেদনে ক্ষেপণাস্ত্রের ‘সফল উৎক্ষেপণের’ এই দাবি করা হয়।বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরীক্ষা দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন ঝুঁকি হয়ে দেখা দিতে পারে।

কেসিএনএ-র প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, একটি সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র বেরিয়ে যাচ্ছে, আর আরেকটি জাহাজ থেকে তা দেখছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন।

পরীক্ষা সময় ও স্থান উল্লেখ না করে কেসিএনএ বলেছে, “এ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ হল- পানির নিচে থাকা একটি সাবমেরিন থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণের সর্বশেষ সামরিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন করা গেছে।”

শনিবার কেসিএনএ-র অন্য একটি প্রতিবেদনে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের স্থান হিসেবে দেশটির পূর্ব উপকূলের সিনপো-র নাম বলা হয়। এলাকাটি দেশটির ‘সাবমেরিন ঘাঁটি’ বলে পরিচিত।

যে কোনো ধরনের ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহারের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, উত্তর কোরিয়ার এ পরীক্ষা জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের পাস হওয়া প্রস্তাবের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ইমেইলে বলেছে, “আমরা উত্তর কোরিয়াকে এমন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যা ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে।”

ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের কোরিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক ভিক্টর চা বলেন, পরীক্ষাটি যদি ‘সফল’ হয়ে থাকে তাহলে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল যুক্তরাষ্ট্রেও আঘাত হানতে সক্ষম হবে।

সাবমেরিন থেকে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণের ছবিগুলো দেখে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞ শিন ইন-কাইয়ুন বলেছেন, “এতে বোঝা যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের বর্তমান মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়বে।”

“বর্তমানের মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় উত্তর কোরিয়ার দিকে নজর রাখা হলেও, জেজু দ্বীপের দক্ষিণে বা গুয়ামের কাছে কোনো সাবমেরিন অবস্থান নিলে সেদিকে নজর রাখা সম্ভব হবে না,” বলেন তিনি।

এর আগে মার্চে উত্তর কোরিয়া ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালাস্টিক মিসাইল ও মধ্য-পাল্লার মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছিল।

১০মে ২০১৫/ এম ইউ

Tags: