খাওয়ার পর দাঁত না মাজার কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়। এ ছাড়া আপনার শ্বাসের গন্ধে আরো কিছু স্বাস্থ্যকথা লুকিয়ে রয়েছে। এখানে জেনে নিন কয়েক ধরনের গন্ধ কি ধরনের সমস্যা প্রকাশ পায়।
১. শ্বাসে যদি নাশপাতির রসের মতো গন্ধ বেরোয় তবে তা ডায়াবেটিসের তথ্য দিতে পারে। টাইপ ১ ডায়াবেটিস হলে মুখ দিয়ে নাশপাতি ফল বা অ্যামোনিয়ার মতো গন্ধ বেরোয়। দেহে ইনসুলিনের অভাবের কারণে শক্তি উৎপাদনে দেহ চিনির পরিবর্তে চর্বিকে ভাঙতে থাকে। তাই এমন গন্ধ বেরোতে পারে।
২. মুখ থেকে যদি ন্যাপথলিনের গন্ধ বেরোয়, তবে সাইনাস থাকতে পারে। সর্দি থেকে এক ধরনের শ্লেষ্মা উৎপন্ন হয় যার গন্ধ এমন হয়। আবার গলায় ঘনভাবে প্রোটিন জমা হলেও এমন গন্ধ আসে। সাইনাসের সমস্যায় এমন হতে পারে।
৩. শ্বাসে যদি টক দুধের গন্ধ পান তবে খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে। কার্বোহাইড্রেট ছাড়া উচ্চ প্রোটিনের খাবার খাওয়া হলে বাজে গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে। শক্তি উৎপাদনে কার্বোহাইড্রেট না থাকার কারণে চর্বি ও প্রোটিন পুড়তে শুরু করে। ফলে এমন গন্ধের সৃষ্টি হয়।
৪. পচা মাংসের গন্ধ বের হলে হয়তো টনসিলের সমস্যা রয়েছে। টনসিলে সংক্রমণ ঘটলে বা প্রদাহের সৃষ্টি হলে জিহ্বার নিচে অ্যানাঅ্যারোবিক ব্যাকটেরিয়ার পক্ষে রাসায়নিক পদার্থকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ভাঙা সম্ভব হয় না। এতে সালফারের মতো গন্ধ তৈরি হয়।
৫. সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক ধরনের বাজে গন্ধ থাকে মুখে। এই গন্ধ অন্য সময় নাকে ঠেকলে বুঝতে হবে জেরোস্টোমিয়া সমস্যা হয়েছে আপনার। একে ‘শুষ্ক মুখ’ সমস্যা হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়। মুখে নিয়মিত স্যালিভার অভাবে প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়া ক্রিয়াশীল থাকতে পারে না। ফলে এমন গন্ধ হয়।
৬. মুখ থেকে মাছের আঁশটে গন্ধ বের হলে কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। এ ধরনের গন্ধের জন্যে দায়ী নাইট্রোজেন। কিডনি সুষ্ঠুভাবে কাজ না করতে পারলে নাইট্রোজেন উৎপন্ন হয়। আর তা এমন গন্ধের সৃষ্টি করে।
৭. মুখ থেকে পশু-পাখির বিষ্ঠার মতো বাজে গন্ধ বের হলে আপনার মাড়িতে সংক্রমণ ঘটতে পারে। মাড়ির টিস্যুতে সংক্রমণ ঘটলে অ্যানাঅ্যারোবিক ব্যাকটেরিয়া সঠিকভাবে রাসায়নিক পদার্থ উৎপাদন করতে পারে না। ফলে বাজে গন্ধ তৈরি করে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া