মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকার পানিবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
বুধবার বিকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতান, সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য রাশেদা বেগম হীরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, দেশের ২৪টি জেলায় এক কোটির বেশি মানুষ বন্যায় পানিবন্দি। কিন্তু সরকার বন্যার্তদের দুর্ভোগ চেপে যাচ্ছে। সরকার দেশের বন্যা পরিস্থিতি সামাল না দিয়ে চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই বন্যাকবলিত জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই।
রিপন বলেন, কয়েক দিন আগের টানা বর্ষণ ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে দেশের প্রায় ২৪টি জেলার বন্যাকবলিত মানুষ মাথা গোজার ঠাঁই হারিয়েছে। তাদের মাঠের ফসল বন্যায় কেড়ে নিয়েছে। উপযুক্ত ত্রাণও তারা পাননি। ফলে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের মধ্যে হাহাকার ছড়িয়ে পড়ার পরও সরকার তাদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, কয়েক দফার বন্যায় বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের ও অন্যান্য বন্যা কবলিত এলাকার কয়েক লাখ হেক্টর জমির ফসলহানি, মাছের খামার ও পুকুর বন্যায় তলিয়ে যাওয়ায় মানুষ দিশেহারা। ত্রাণের অপর্যাপ্ততা ও বিশুদ্ধ খাবারের পানির সঙ্কটে মানুষের জীবন বিপন্ন।
রিপন বলেন, দুঃখের বিষয়- এ বিষয়গুলো পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর সরকারের তরফ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। উল্টো ত্রাণ ও দুর্যোগমন্ত্রী গণমাধ্যমে বন্যার খবর বেশি করে না ছাপানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা না থাকায় বিনা ভোটের এই সরকার আজ জনগণের দুর্যোগের মুহূর্তে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। সরকারের এ ব্যর্থতা ও নীরব থাকাকে আমরা নিন্দা জানাই।
বিএনপি মুখপাত্র বন্যা উপদ্রুত এলাকায় জরুরি ত্রাণ পাঠানোর জন্য দাবি জানান। একইভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসনে কার্যকর সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ারর পাশাপাশি বন্যা নিয়ে সরকারের নীরবতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বন্যা পরিস্থিতি উত্তরণের পর কৃষকদের সুদমুক্ত ঋণ দেয়ারও দাবি জানান।
নদী ভাঙন এলাকার মানুষদের সাহায্যে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রিপন।