muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদ উদযাপন

eid namaz
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, শেরপুর ও মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার কয়েকশ গ্রামে আজ বৃহস্পতিবার কোরবানির ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।

১৫ সেপ্টেম্বর জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে শুক্রবার। তবে একদিন আগে চাঁদ দেখায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বৃহস্পতিবার ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু গ্রামে বিভিন্ন পীরের অনুসারীরা ঈদুল আজহা উদযাপন করছে। এসব এলাকায় প্রতিবছরই রোজা, ঈদ, শবে-বরাত, শবে-মেরাজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে পালন করেন।

জানা গেছে, সৌদি আরবের সাথে সংঙ্গতি রেখে পটুয়াখালী সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ২২টি গ্রামের মুসলমানরা বৃহস্পতিবার ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন। সকাল ৯টায় সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফ জামে মসজিদে কয়েক হাজার মানুষ ঈদ জামাতে অংশ নেন। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ১৯২৮ সাল থেকে এখানকার গ্রামবাসীরা ঈদ উদযাপন ও পশু কোরবানি দিয়ে আসছেন।

পটুয়াখালী সদর উপজেলায় পাঁচটি, দুমকী উপজেলায় দুটি, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় তিনটি, বাউফল উপজেলায় তিনটি, গলাচিপা উপজেলায় তিনটি এবং কলাপাড়া উপজেলায় ছয় গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মুসলমান এদিন ঈদ করছেন।

স্থানীয়ভাবে এরা চট্টগ্রামের এলাহাবাদ সুফিয়া ও বদরপুর দরবার শরীফ এবং চানটুপির অনুসারী হিসেবে পরিচিত। জানা গেছে, চট্রগ্রামের ওইসব এলাকায়ও এসব পীরের অনুসারীরা আজ

দিনাজপুর সদরসহ জেলার চারটি উপজেলাও আজ ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। শহরের ড্যাফোডিল কমিউনিটি সেন্টারে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামায়াতে ইমামতি করেন মাওলানা রউফ উদ্দিন। প্রায় আড়াই শতাধিক মুসলমান সেখানে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে তারা বাড়িতে ফিরে পশু কোরবানি করেন।
দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ভাড়াডাঙ্গী বাজার, চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়া, কাহারোল উপজেলার রসুলপুর ও গড়েয়া বাজার এলাকার ১৭ গ্রামে মানুষ প্রতিবছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একই দিনে ঈদ ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন।

এদিকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে পালিত হচেছ ঈদুল আজহা।জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবু ইছহাক ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের এই রীতি চালু করেন। ইছহাকের মৃত্যুর পর তার ছয় ছেলে এ মতবাদের প্রচার চালিয়ে আসছেন।
ইছহাকের বড় ছেলে ও সাদ্রা গ্রামের গদিশীন পীর আবু যোফার আবদুল হাই বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় সাদ্রা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ঈদের নামাজ পড়েছেন তারা।
হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, বেলচো, জাঁকনি, প্রতাপপুর, গোবিন্দপুর, দক্ষিণ বলাখাল। ফরিদগঞ্জ উপজেলার সেনাগাঁও, বাসারা উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, বদরপুর, পাইকপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, কাইতাড়া, নুরপুর, শাচনমেঘ, ষোলা, হাঁসা, চরদুখিয়া এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলার দশআনী, মোহনপুর, পাঁচআনী ও কচুয়া উপজেলার উজানি গ্রামের ১৫ হাজার মুসলমান এদিন ঈদের নামাজ পড়ে পশু কোরবানি করেন।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, বরগুনা, ভোলা, লালমনিরহাট ও শেরপুরের শতাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মুসলমান এদিন উদযাপন করছেন।

Tags: