muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

অপরাধ

গাইবান্ধায় পিতৃ পরিচয়ে কবর থেকে ৯৪ দিন পর ৭ মাসের শিশুর লাশ উত্তোলন

gaibandha
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পিতৃ পরিচয়ে ৭ মাসের শিশুর ডিএনএ টেষ্টের আলামত পরীার জন্য ঢাকায় পাঠালে আলামত খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাদীর অভিযোগ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাজমুল ইসলাম লিটন আসামী পরে সাথে যোগসাজসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ডিএনএ টেষ্টের আলামতটি গায়েব করে।

পুনরায় মামলার বাদী আজুবা বেগম গাইবান্ধা বিজ্ঞ আদালতে আবেদনের প্রেেিত পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাউজুল কবিরের উপস্থিতিতে ৯৪ দিন পর গতকাল সোমবার কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পুনরায় ডিএনএ পরীার জন্য সিলগালা করে প্রেরণ করা হয়। উল্লেখ্য, উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বেংগুলিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের কুমারী কন্যা শরিফা আক্তার (১৪) পার্শ্ববর্তী কাতুলী গ্রামের আব্দুল গণি গাছুর পুত্র বেংগুলিয়া বাজারে চাতাল ব্যবসায়ী লম্পট সাদেকুল ইসলাম বিদ্যুৎ (৩২) বিয়েসহ বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে দৈহিক মেলামেলায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে কুমারী শরিফা আক্তার ৭ মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। এ ঘটনা শরিফা তার পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে বিদ্যুৎকে বিয়ের চাপ সৃষ্টি করে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ মোটা অংকের টাকার বিনিমিয়ে অন্তঃসত্তা শরিফার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য গত ২ জুলাই পলাশবাড়ীর জনৈক ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ঔষুধ সেবন করলে শরিফার ৭ মাসের গর্ভপাত ঘটে। এব্যাপারে বিদ্যুৎকে আসামী করে পলাশবাড়ী থানায় (নং- ০৪, ০৩/০৭/১৫) মামলা দায়ের হয়। পরে বাদীর অভিযোগে থানা অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমানের নির্দেশে এসআই নাজমুল ইসলাম লিটন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গর্ভপাত ঘটানো ৭ মাসের কন্যা শিশুটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে গাইবান্ধা মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও পিতৃ পরিচয়ে ডিএনএ টেষ্টের আলামত ঢাকায় প্রেরণ করে। বাদী আজুবা রিপোর্টটি পাওয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তার দ্বারস্ত হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা বাদীকে বলে তোমার আলামতটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম লিটনের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ৭ মাসের শিশুটির পিতৃ পরিচয়ে ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকা সিএডিতে পাঠালে খুঁজে না পাওয়ায় আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ তুলে পুনরায় ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু বাদীর অভিযোগ আসামী পরে সাথে পুলিশের মোটা অংকের টাকার বিনিময় হওয়ায় রিপোর্ট নিয়ে তালবাহনা করছেন।

Tags: