muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

মেয়েদের বিয়ের বয়স এক চুলও নড়চড় হবে না : চুমকি

Chumki
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ এবং ছেলেদের বিয়ের বয়স ২১ ই থাকবে। এর থেকে এক চুলও নড়চড় হবে না বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি বলেছেন,

সরকার বাল্যবিবাহের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। চূড়ান্ত আইনে বিশেষ পরিস্থিতিতে বিয়ের বয়স শিথিল করার বিষয়টি থাকবে কিনা সেটা এখনও চ’ড়ান্ত নয়। এটি নীতিমালায়ও উল্লেখ করা হতে পারে। নাও হতে পারে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনার জন্য আইনের খসড়াটি বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে আছে।
“নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র বিমোচন এবং সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ অঙ্গীকার থেকে সরকার এক চুলও নড়বে না। বাল্যবিয়ে নারীর ক্ষমতায়নের পথে বড় বাধা। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৪ প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার বাল্যবিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। তাই সরকার এমন কোনো আইন করবে না যা দেশের জন্য ক্ষতিকর,” প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনের আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে আয়োজিতএক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত “বাল্য বিবাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা” শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের চেয়ারপার্সন এডভোকেট সুলতানা কামাল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহি পরিচালকর্ শাহীন আনাম ও উর্ধ্বতন সমন্বয়কারী বনশ্রী মিত্র, আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট-এর জাতীয় সমন্বয়কারী জিনাত আরা হক, জোটের সদস্য এডভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন ও শবনম ফেরদৌসী।
বাল্যবিবাহ নিয়ন্ত্রণ আইন , ১৯২৯ এর স্থলে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৪ (খসড়া)-এ বিয়ের বয়স ১৬ হবে না ১৮ হবে এমন বিতর্কের জবাবে মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, খসড়া আইনে যাই উল্লেখ থাকুক না কেন, এটা নিয়ে এখনো পর্যালোচনা চলছে। সমাজ বাস্তবতার সাথে সঙ্গতি রেখে একটি গ্রহণযোগ্য আইন করাই সরকারের লক্ষ্য। এজন্যই সময় নিয়ে সবার মতামত নিয়ে আইন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ এবং ছেলেদের বিয়ের বয়স ২১ ই থাকবে। এর থেকে এক চুলও নড়চড় হবে না। সরকার বাল্যবিবাহের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। চূড়ান্ত আইনে বিশেষ পরিস্থিতিতে বিয়ের বয়স শিথিল করার বিষয়টি থাকবে কিনা সেটা এখনও চ’ড়ান্ত নয়। এটি নীতিমালায়ও উল্লেখ করা হতে পারে। নাও হতে পারে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনার জন্য আইনের খসড়াটি বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে আছে।
প্রতিমন্ত্রী আইনের খসড়ায় সুশীল সমাজের সুপারিশসমূহ সন্নিবেশিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রস্তাব আহ্বান করেন। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ বাল্যবিয়ে মোকাবেলা করা। সরকার এমন কোন আইন করবে না যা এই চ্যালেঞ্জের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই আপনারাও এ নিয়ে দু:শ্চিন্তা করবেন না।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বাল্যবিবাহ বন্ধে বিয়ের বয়স নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, আইনে বিয়ের বয়স ১৮ই থাকতে হবে। এতে বিশেষ পরিস্থিতির কোন উল্লেখ থাকলে তা বাল্যবিবাহ রোধে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। তারা সামাজিক সুরক্ষা, যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কে শিক্ষার অভাব, সামাজিক সচেতনতার অভাব, সমাজ ও অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গী এবং যৌতুককে বাল্যবিবাহের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। বক্তারা বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন করে তোলার আহ্বান জানান।

Tags: