muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

সজনে গাছের মূল ক্যান্সার নির্মূলে বৈপ্লবিক সাফল্য পেল কলকাতা

cancer-treatment
ফের ক্যান্সার গবেষণায় বৈপ্লবিক সাফল্য পেল কলকাতা৷ সজনে গাছের মূলের নির্যাসে ‘অ্যাণ্টি-ক্যান্সার’ উপাদান আবিস্কার করে কয়েক ধাপ এগিয়ে দিল সারা বিশ্বের ক্যান্সার গবেষণাকে৷

কেমোথেরাপি যেখানে ব্যর্থ হচ্ছে সেখানেও সফল হচ্ছে এই প্রাকৃতিক ‘ওষুধ’৷
প্রথম পর্যায়ের ‘সেল লাইন’ গবেষণা শেষ৷ ছ’মাস হল শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের গবেষণা, যাদবপুরের ‘ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজি’ (আইআইসিবি)-তে৷ আর্থিক সহযোগিতা করছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ’৷ বিজ্ঞানীদের দাবি, সজনে মূলের নির্যাসে রয়েছে আইসোথায়োসায়ানেট ও গ্লুকোসিনোলেটস-এর বিরল সমন্বয়৷ এই যুগলবন্দিই ডিম্বাশয় ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার সারিয়ে তুলছে৷
আনবিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই সজনে-জাত ‘আইসোথায়োসায়ানেট’-এর কার্যকারিতা মাপার কাজ শুরু করেছে আইআইসিবি৷ কীভাবে আইসোথায়োসায়ানেট ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের উপর কাজ করছে তার আনবিক সমীকরণ খোঁজা হচ্ছে৷ এমনটাই জানালেন আইআইসিবি-র এমিরেটাস বিজ্ঞানী তথা প্রাক্তন ‘চিফ সায়েণ্টিস্ট’ ড. কেয়া চৌধুরি৷
পার্ক লেনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সজনে মূলের নির্যাস নিয়ে ২০১২ সালে গবেষণা শুরু করে পাঁচজনের একটি দল৷ অরিজিত্‍ ঘোষ, প্রিয়ব্রত দাস, ঋত্বিকা ভট্টাচার্য ডা. সি কে বোস ও বিশিষ্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. আশিস মুখোপাধ্যায়৷ নেতৃত্বে ছিলেন আশিসবাবু৷ ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ’ ১৮ লক্ষ টাকা গবেষণা খাতে বরাদ্দ করেছিল৷ অবশেষে মিলল সাফল্য৷ কেমোথেরাপি যে সব কোষকে মারতে পারে না, তাদেরও খতম করতে পারে এই ‘আইসোথায়োসায়ানেট’৷
প্রথম পর্যায়ের ‘সেল লাইন’ গবেষণায় পাওয়া সাফল্য ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল অঙ্কোলজি’-তে৷ কয়েক মাস আগে আইআইসিবি-তে ‘ওষুধ’-টি নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের গবেষণা শুরু হয়েছে৷ ডাক এসেছে ‘ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ মেডিক্যাল অঙ্কোলজি’ থেকে৷
প্রসঙ্গত, বছরখানেক আগে হাজরার ‘চিত্তরঞ্জন ক্যানসার ইনস্টিটিউট’-এর চিকিৎসক পার্থ বসুও হলুদের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার সারানোর ওষুধ আবিস্কার করেছিলেন৷ এবার আরও দু’টি ক্যান্সারের ওষুধ তৈরিতে সাফল্য পেল কলকাতা৷ সম্পূর্ণ হল বৃত্ত৷

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Tags: