মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ দীর্ঘ চার দশক পর দেশের বিউটি কুইনকে বেছে নিল ইরাক। অ্যালকোহল ফ্রি পার্টি, স্যইমস্যুট তো নয়ই, বরং হাঁটুর নীচ পর্যন্ত পোশাকে ঢাকা সুন্দরীদের ক্যাটওয়াক- সব মিলিয়ে এ যেন এক অন্য অথচ অনন্য বিউটি কনটেস্ট।
যেখানে সেরার শিরোপা উঠল কির্কুকের ২০ বছর বয়সি সবুজ চোখের সুন্দরী শায়মা কাসিমের মাথায়। আসন্ন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ইরাকের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।
বাগদাদের একটি হোটেলে আয়োজিত শায়েমার মাথায় মিস ইরাকের মুকুট পরিয়ে দেন জুরি মেম্বাররা। অনুরাগীদের সঙ্গে সেলফিতে পোজ দিতে দিতে শায়েমার প্রতিক্রিয়া, ‘ইরাক এগোচ্ছে এটা জেনে আমি খুশি। খুব বড় মাপের।এই প্রতিযোগিতা প্রত্যেক ইরাকির মুখে হাসি ফুটিয়েছে।’
মিস ইউনিভার্সের জন্য প্রতিযোগী পাঠানোর দৌড়ে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে উদ্যোক্তাদের। পূরণ করতে হয়েছে নানা আন্তর্জাতিক শর্ত। তবে, কোনও স্যুইমস্যুট বা ছোট পোশাকে ধরা দেননি ইরাকের সুন্দরীরা। হাই হিল, স্লিভলেস অথচ হাঁটুর নীচ পর্যন্ত পোশাকে ঢাকা সুন্দরীরা অন্যান্য সবক্ষেত্রেই ছিলেন দারুণ সাবলীল। বিউটি কনটেস্টের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর সেনান কামেল জানিয়েছেন, ‘ইরাকের একজন ভালো দূত পাওয়ার আশা রাখছি।’
শেষবার ১৯৭২ সালে যখন তেলসমৃদ্ধ ইরাকের সুদিন চলছে, তখন মিস ইরাক প্রতিযোগিতা হয়েছিল পুয়োর্তো রিকোয়। এরপরের অধ্যায়টা অন্ধকারে ভরা। মিস ইরাক কনটেস্টের এক উদ্যোক্তার মতে, ISIS-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিধ্বস্ত ইরাকে এধরনের বিউটি কনটেস্ট হলে, মানুষের অন্তত মনে হবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
সূত্র: এই সময়