muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

শ্রীলঙ্কায় বাস্তুচ্যুত তামিলদের পুনর্বাসনের নির্দেশ

Srilanka
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ তিন দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধে যেসব তামিল বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, তাদের ছয় মাসের মধ্যে পুনর্বাসনের নিদের্শ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। এ লক্ষ্যে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের কথাও জানান তিনি।

রোববার জাফিনাতে ক্রিস্টমাস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিরিসেনা বলেন, ‘বাস্তুচ্যুত তামিল জনগোষ্ঠী যাতে তাদের প্রকৃত আবাসভূমি ফিরে পায়, এ লক্ষ্যে একটি বিশেষ প্রেসিডেনশিয়াল টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। এই টাস্কফোর্স আগামী ছয় মাসের মধ্যে তামিলদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে এ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।’

প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি তাদের বাড়িঘরগুলোতে গিয়েছিলাম। তাদের বর্তমান জীবনধারণের অবস্থা দেখে নিজের ভেতরেই এক ধরনের বেদনা অনুভব করেছি।’

জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চল নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমসিংহ আপোশ করছেন- এমন অভিযোগের সমালোচনা করেন সিরিসেনা।

তিনি বলেন, ‘কলম্বো বসে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে যারা উচ্চবাচ্য করছেন, এসব অঞ্চলে তাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি; আসুন এবং প্রকৃত অবস্থা স্বচক্ষে দেখে যান। উত্তরাঞ্চলের তামিল জনগোষ্ঠী যেভাবে চাইবে, সেভাবেই তাদের সব সুবিধা দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান জাতীয় নিরাপত্তা কোনো হুমকির মুখে নেই। বরং ২৫ বছর আগে লোকজনকে বাস্তুচ্যুত করার মধ্য দিয়েই জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমার পূর্বসুরি মাহিন্দা রাজাপাক্ষে সরকার গৃহযুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তি আনতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু সত্যিকারের ঐক্য এখনো অধরা থেকে গেছে।

‘যুদ্ধে আমরা জয় পেয়েছি, শান্তি ফিরে এসেছে। কিন্তু যুদ্ধের মূলে যে কারণ, তা এখনো অব্যাহত রয়েছে।’

গত জানুয়ারি থেকে সিরিসেনা সরকার সংখ্যালঘু তামিল সম্প্রদায়ের জন্য কিছু ত্রাণকর্মসূচি চালু করে। এ ছাড়া ৩০ বছর ধরে সেনাবাহিনীর দখলে থাকা তামিলদের ব্যক্তিমালিকানাধীন কিছু ভূমিও অবমুক্ত করা হয়। তামিল অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চলে ৩০ বছর ধরে চলা সেনা প্রশাসনের পরিবর্তে একটি বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, গৃহযুদ্ধের শেষ মাসেই শ্রীলঙ্কায় কমপক্ষে ৪০ হাজার তামিলকে হত্যা করা হয়। ২০১৪ সালে ইউএনসিএইচআরের অর্ধবার্ষিকী প্রতিবেদনে বলা হয়, গৃহযুদ্ধে এক লাখ ২৩ হাজার ২৮ জন তামিল উদ্বাস্তু হয়েছেন। শরণার্থী হয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে আরো ১৬ হাজার ১৯০ জন। ৩০ হাজার ৮৪৭ জনকে অভ্যন্তরীণভাবে সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত বা আইডিটি হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র : পিটিআই অনলাইন।

Tags: