muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

রাজনীতি

ভোট ডাকাতি করে জেতার মধ্যে আনন্দের কিছু নেই : খালেদা জিয়া

khaleda-2

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ভোট ডাকাতি করে জেতার মধ্যে আনন্দের কিছু নেই।

রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে এসে খালেদা জিয়া জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে এবং পায়রা উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান।

ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাসসুজ্জামান দুদু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূইয়া, সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

খালেদা জিয়া বলেন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং প্রশাসনকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করে ভোট চুরি করা হয়েছে। সেজন্য বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন হাসিনা-রকিব মার্কা নির্বাচন করে তারা নিজেরাই ঢোল পেটাচ্ছে। এই নির্বাচনে আনন্দ পাওয়ার কিছু নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার স্বার্থে বিএনপির দাবি অনুযায়ী সেনা মোতায়েন না করায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সমালোচনা করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অবাধ হতে পারে না। প্রিজাইডিং অফিসারদের পর্যন্ত দলীয়ভাবে ব্যবহার করে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেজন্য বিএনপির নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেছে।

খালেদা জিয়া বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র বা স্বৈরতন্ত্র নয়, চলছে রাজতন্ত্র। যেখানে এক ব্যক্তির ইচ্ছা অনুযায়ী সব হচ্ছে। এরা ডাইনি, বাঘিনী, রক্তপিপাসু; রক্তের নেশায় পাগল হয়ে গেছে। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। তিনি দাবি করেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীকে গুম এবং নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে বিনা অপরাধে কারাগারে রেখে মেরে ফেলা হয়েছে। এ সময় সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যেসব নেতা গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের স্মরণ করেন তিনি।

এই সরকারের সময়ে উন্নয়ন থেমে গেছে- দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, কুইক রেন্টালের নামে হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদ্যুৎখাত ধ্বংস করে ফেলেছে। দেশের অর্থনীতিতে এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি। বিনিয়োগ নেই। শেয়ার বাজার লুট করা হয়েছে। সেখানে কেউ বিনিয়োগ করতে সাহস পায় না। ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনের উদেশে তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই সরকারের পরিবর্তন হবে। আপনারা নিরপেক্ষ থাকুন।

আওয়ামী লীগ বলে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আপনাদের চাকরি যাবে। কিন্তু আমি বলবো- আপনাদের চাকরি যাবে না। আপনারা আপনাদের যোগ্যতা বলেই চাকরি করবেন। ছাত্রলীগ সব দখল করে নিয়েছে। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। সব জায়গায় চাঁদাবাজি করে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে আজ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ নেই।

ছাত্রদলকে দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা এবং নিয়মানুবর্তিতা সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ছাত্রদলের সৃষ্ট সমস্যা প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ছাত্রদলের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সেশন জটের মতো জট লেগেছে। এগুলো সমাধান করতে হবে। এ সময় কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি না করে মেনে নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। এ সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দেন নিয়মিত ছাত্রদলের দিয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হবে। খালেদা জিয়া কারাগারে থাকা ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যাস্টিার মওদুদ আহমেদ, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান,  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, যুগ্ম মহাসচিব ডা জেড এম জাহিদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবেদিন ফারুক, বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লা মিয়া প্রমুখ।

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/01-01-2016/মইনুল হোসেন

Tags: