muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

Uncategorized

প্রেক্ষাগৃহে ঘোলা ছবি, দায় জাজ না হলের?

bhoot-3

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ  বাংলাদেশে ছবি মুক্তির পর আতঙ্কে থাকেন নায়ক, নায়িকা, পরিচালক ও প্রযোজকরা। কারণ এমনিতেই দর্শকদের টানতে পারছে না কোনো ছবি। পরিচালক ও প্রযোজকদের দাবি সিনেমা হলের পরিবেশ ভালো না হওয়ায় দর্শক হলে যান না। হল মালিকরা বলছেন, ছবির মান ভালো না হওয়ায় কেউ আর সিনেমা দেখতে আসছেন না। হলে দর্শক না যাওয়ার পেছনে আরেকটি কারণও শোনা যায়, সেটি হলো ‘প্রক্ষেপণ যন্ত্রের সমস্যা রয়েছে হলগুলোতে, আর এ কারণে পর্দার ছবিও দেখা যায় ঘোলা।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনেমা হলের টেকনিশিয়ান বলেন, ‘ছবি দেখতে আমারই তো খারাপ লাগে। ছবির কালার ঠিক নাই। এর আগে যখন ফিতায় ছবি (৩৫ মিমি) চালাতাম, তখন আমরা কার্বন কম দিলে কালার কমে যেত। অনেকটা অন্ধকার হয়ে যেত সিনেমা হলের পরিবেশ। ঠিকমতো বোঝা যেত না ছবি, বা অল্প বোঝা যেত। একই অবস্থা চলছে এখনো। ডিজিটাল হয়ে গেছে সব কিছু। সেই হিসেবে আমাদের প্রক্ষেপণ যন্ত্রটিও ডিজিটাল। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই যন্ত্রে একটি বাল্ব থাকে, যেটার মাধ্যমে পর্দায় ছবি ভেসে ওঠে। সেই বাল্বের একটা সময় থাকে, ছয় মাস পর এর আলো দেওয়ার শক্তি কমে যায়। আমরা যে মেশিন চালাচ্ছি সেই মেশিনের বাল্ব কখনো বদল করা হয়নি। যদি একেবারে নষ্ট হয়ে যায়, তখনই শুধু বাল্ব বদল করা হয়। কিন্তু শক্তি ক্ষয় হলে বদল করার নিয়ম নেই। আমাদের মেশিনের বাল্বের শক্তি কমে গেছে। শুধু আমাদের এখানে নয়, বাংলাদেশের প্রায় সব সিনেমা হলেই মেশিন দিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। তারা যদি বাল্ব বদল করে না দেয়, তা হলে এই অন্ধকার ঘরে আন্ধার ছবিই দেখতে হবে।’

একই কথা বলেন ঢাকা ও ঢাকার বাইরের আরো কয়েকজন সিনেমা হল মালিক ও টেকনিশিয়ান। অভিযোগের জবাবে জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে প্রায় আড়াইশ সিনেমা হলে মেশিন দিয়েছি। সিনেমা হলের সাথে আমাদের চুক্তি অনুযায়ী ১০০ টাকার টিকেট বিক্রি হলে তারা ৭০ টাকা রাখবে, আমাদের দেবে ৩০ টাকা। কিন্তু দেখা যায় তারা তাদের টাকা খরচ করে আমাদের ৩০ টাকা থেকেও খরচ করে ফেলে। সেই হিসেবে দেখা যায়, অনেক সিনেমা হল থেকেই আমরা লক্ষাধিক টাকা পাই। এখন কথা হচ্ছে, একেকটা বাল্বের দাম ৩০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা। তারা যদি আমাদের দেনা শোধ না করে, তবে তাদের পেছনে আমরা নতুন করে আবার কীভাবে টাকা লগ্নি করব? গিয়ে খবর নিন, যাঁরা বাল্বের কারণে ভালো ছবি দেখাতে পারছেন না, তাঁদের কাছে আমরা অনেক টাকা পাই।’

জাজ মাল্টিমিডিয়া বা প্রেক্ষাগৃহের মালিক, যার কারণেই হোক, দর্শক বঞ্চিত হচ্ছেন ছবির চকচকে প্রিন্ট থেকে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে দর্শককে হলে টানতে হবে এ কথা সবাই জানেন। ছবি দেখে দর্শক যদি সন্তুষ্ট না হন, তাহলে তাঁরা প্রেক্ষাগৃহে যাবেনই বা কেন? এমন প্রশ্নও করেন একাধিক সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ।

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/05-01-2016/মইনুল হোসেন

Tags: