মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ- শুক্রবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৭১ রান করে পাকিস্তান। জবাবে শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ১৫৫ রান করে স্বাগতিকরা।
এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেন স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানো পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির। ফেরার দিনে বাঁ হাতি এই বোলার ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। নিজের শেষ বলে ম্যাট হেনরিকে ক্যাচ আউট করেন তিনি।
১৭২ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিলকে (২) হারায় নিউ জিল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় উইকেটে কেন উইলিয়ামসন ও কলিন মানরোর ৪৯ বলে ৮০ রানের জুটিতে জয়ের সম্ভাবনা জেরালো হয় তাদের।
দশম ওভারের শেষ বলে মানরোকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান ওয়াহাব রিয়াজ। আর ওখান থেকেই পথ হারায় নিউ জিল্যান্ড; ১৯ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় দলটি।
২৭ বলে ২টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৫৬ রান করেন মানরো।
এক প্রান্ত আগলে রাখা উইলিয়ামসনের ব্যাটে অবশ্য তারপরও লড়াইয়ে ছিল নিউ জিল্যান্ড। শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ২০ রান, লক্ষ্য কঠিন হলেও মারকুটে উইলিয়ামসনে আশা বেঁচে ছিল দলটির।
তবে প্রথম বলেই ডান হাতি এই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে সব নাটকীয়তা শেষ করে দেন রিয়াজ। হাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৬০ বলে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় ৭০ রান করেন উইলিয়ামসন।
নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসে মানরো ও উইলিয়ামসন ছাড়া দুই অঙ্কের ইনিংস খেলেন শুধু হেনরি।
পেসার রিয়াজ ৩৪ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন। উমর গুল ও আফ্রিদি নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারটি মেডেন দিয়ে শুরু করলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন হাফিজ। অন্য প্রান্তে আহমেদ শেহজাদ (১৬), শোয়েব মাকসুদ (শূন্য) ও শোয়েব মালিক (২০) ফিরে গেলেও দলকে এগিয়ে নেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
দলকে শতরানে পৌছে দিয়ে ফিরে যান হাফিজ (৬১)। তার ৪৭ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি সাজানো ৮টি চার ও দুটি ছক্কায়।
আফ্রিদি, আকমলকে মঞ্চ প্রস্তুত করে দিয়ে যান হাফিজ। শুরুও করেছিলেন পাকিস্তানের দুই মারকুটে ব্যাটসম্যান। কিন্তু কেউই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৪ বলে একটি করে ছক্কা, চারে ২৪ রান করেন আকমল। ৮ বলে দুটি করে ছক্কা, চারে ২৩ রান আসে অধিনায়ক আফ্রিদির ব্যাট থেকে।
শেষের দিকে ৮ বলে ১৮ রানের আরেকটি ছোট্ট আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন ইমাদ ওয়াসিম।
৩৭ রানে চার উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সেরা বোলার অ্যাডাম মিল্নে। বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার দুই উইকেট নেন ১৪ রানে। অভিষেকে ৩ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন লেগ স্পিনার টড অ্যাস্টল।
ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও অবদান রাখায় ম্যাচ সেরা হন পাকিস্তানের অধিনায়ক আফ্রিদি। আগামী রোববার হ্যামিল্টনে জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে যাবে তার দল।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/15-01-2016/মইনুল হোসেন