muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

বগুড়ার শেরপুর একটি ক্লিনিকে শিশু ডাক্তার না থাকায় সিজারের পরেই নবজাতকের মৃত্যু ! ডাক্তারের অবহেলা

child-death_newborn

এস এম আমিনুল মোমিন, শেরপুর(বগুড়া )প্রতিনিধিঃ
আধুনিক চিকিৎসা সেবায় প্রতিটি মার্তৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যু রোধে নানা ব্যবস্থা থাকলেও অধিক মুনাফা লাভের আশায় মফস্বলে ক্লিনিক গুলো তা মানছে না। এমনকি মায়েদের সিজার অপারেশনের সময় নবজাতক শিশু স্বাস্থ্যসেবায় পৃথক শিশু ডাক্তার না থাকায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হামছাপুর পালস ক্লিনিক এন্ড জেনারেল হাসপাতাল এ গতকাল বুধবার সকালে ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়াগেছে ।

জানাগেছে, বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার গোপালনগর গ্রামের সুলতানের স্ত্রী রোজিনা(২২)কে সুস্থ নিরাপদ প্রসব ঘটানোর জন্য গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে আট টার দিকে শেরপুর উপজেলার হামছায়াপুরস্থ পালস ক্লিনিক এন্ড জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। গর্ভবর্তী মায়ের অবস্থা গুরুতর দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্লিনিক কর্মরতরা তাদের নিজস্ব ডাক্তার তুনার জিনা আক্তার মুক্তি সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে সিজারের জন্য অপারেশ থিয়েটার প্রস্তুত করেন। কিন্তু ডাক্তার আসতে অনেকদেরী হয় ।এদিকে রুগীর অবস্থা ক্রমেই অবনতি হলে ক্লিনিক এর ডাক্তার ও নার্সরা পাশ্ববর্তী একটি ক্লিনিক থেকে গাইনি ডাক্তার শামীম আরা জরুরী কন্ট্রাকে নিয়ে আসে। এ ভাবে প্রায় তিন ঘন্টা পর রোজিনার সিজার অপারেশন করেন অন্যএকটি ক্লিনিকের ডাক্তার শামীমা বেগম। সিজার অপারেশনে রোজিনার একটি জীবিত ফুটফুটে সুস্থ কন্যা সন্তান হয়। সন্তান হওয়ার প্রায় আড়াই ঘন্টা পরে শিশুটির শ্বাস কষ্ট দেখাদেয়। এক পর্যায়ে শিশুটি মারা যায় বলে জানাগেছে ।
এ ব্যাপারে নবজাতকের মা রোজিনা সাংবাদিকদের জানায়,  প্রায় তিন ঘন্টা কষ্টে যন্ত্রনায় ছটফট করছিলাম । তার পরেও ডাক্তার আসছিলো না । জীবন মরনের অবস্থার সন্মুখীন দেখে ক্লিনিকের নার্সরা পাশ্বেরএকটি ক্লিনিক থেকে ডাক্তার শামীমাকে ডেকে এনে  সিজার অপারেশন করে। তিনি শুধু অপারেশন করে শিশুটি নার্সদের হাতে বুঝেদিয়ে দ্রুত চলে যায়। এসময় নার্সরা বলাবলি করছিলেন মায়েরপেটে পানি কমছিলো। শিশুটি  পৃথিবীতে আসার প্রায় দুই ঘন্টার মধ্যে কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা না করায় এক পর্যায়ে শ্বাস কষ্টে হয়ে ক্লিনিকেই মারা যায় । বিষয়টি জানাজানি হয়েগেছে  সাংবাদিকরা মৃত নবজাতকের মায়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাদের চরম ভাবে বাধাদেয়।
এব্যাপারে ক্লিনিক এর পরিচালক ডাক্তার আক্তারুল আলম আজাদের সাথে কথা বললে তিনি জানান- শিশুটি সিজার অপারেশনের পরেই তার শরীরে মল ও ময়লা লেগেছিলো । তাকে অক্সিজেন দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু ঘন্টা খানেক পরে অবস্থা গুরুতর দেখে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান হাসপাতাপোঠালে সেখানে মারা যায় ।
তবে ডাক্তার কেন দেরী করেছিলো ও সঠিক সময়ে কেন ব্যবস্থা নেয়া হলোনা জানতে চাইতে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের  কাজে বাধাদেয়ার ঘটনায় টি ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে বলে জানান ।

 

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৪-০২-২০১৬ইং/মইনুল হোসেন

Tags: