muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

মাগুরায় হারাতে বসেছে শিমুল তুলোর লেপ

 magura

মোঃ সোহেল রানা,

(মাগুরা জেলা) প্রতিনিধিঃ শিমুল তুলো ধুনতে ভাল, লিখেছিলেন সুকুমার রায়। কিন্তু বাংলার গ্রামগঞ্জ থেকে মিলিয়ে গিয়েছে তুলো ধোনার শব্দ। ফুলোফুলো তুলোর লেপের জায়গা নিচ্ছে সিন্থেটিক আর হোসিয়ারি কাপড়ের টুকরোয় তৈরি বালাপোষ।

কেন এত চাহিদা বালাপোষের? কারিগরেরা জানালেন, কম দামের জন্যই বালাপোষের চাহিদা তুঙ্গে। তুলোর পরিমাণ অনুযায়ী একটি লেপ কিনতে খরচ পড়ে প্রায় ৮০০-১২০০ টাকা। সেখানে একটি বালাপোষ মেলে মাত্র ৩০০-৫০০ টাকায়। এই তফাত মূলত বালাপোষের উপকরণের দামের জন্য।
পুরনো সিন্থেটিক কাপড়, হোসিয়ারি কারখানার বাতিল কাপড় যন্ত্রের সাহায্যে পেষাই করা হয়। তা থেকে তৈরি ‘তুলো’ দিয়ে বানানো হয় লেপের আকারে বালাপোষ।
শহরের বহু কারিগর কয়েক প্রজন্ম ধরে তুলোর লেপ, কম্বল, তোষক, বালিশ তৈরির কাজ করছে।তাঁরা জানালেন, আগে কাপাস-তুলোর লেপ, কম্বল, তোষক ব্যবহার করা হত। আর শিমুল-তুলো দিয়ে মাথার বালিশ, পাশবালিশ তৈরি করা হত। এখন বিয়ের মরসুম ছাড়া তুলোর লেপ, কম্বলের তেমন চাহিদা নেই গ্রামে। তাই তুলো ধোনার কারিগরের সংখ্যা কমে আসছে।
এ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবীন ব্যবসায়ী বনামলী দাস। তাঁর আক্ষেপ, ”গ্রামে বালাপোষের চাহিদা বেশি হলেও, শহরে এখনও তুলোর লেপ, কম্বলের চাহিদা ভাল রয়েছে। কিন্তু এখন অল্প সময়ে বেশি রোজগারের আশায় অধিকাংশ কারিগর বালাপোষের কাজে নেমে যাওয়ায় এই পেশায় দক্ষ কারিগর তৈরি হচ্ছে না।” বনমালীবাবুর বক্তব্য, ”তুলোর লেপ, কম্বল, তোষক তৈরির দক্ষ কারিগরের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমে গিয়েছে। নতুন করে দক্ষ কারিগর তৈরি না হওয়ায় শীতের সময়ে লেপ, কম্বলের চাহিদা পূরণে সমস্যা বেড়েছে।”
শীতের নলেনগুড় যেমন খেজুর গাছ, শিউলি আর দক্ষ গুড়শিল্পীর অভাবে দুর্লভ হতে বসেছে, সে ভাবেই কি বাঙালির শীতবিলাসের লেপ মিলিয়ে যাবে নস্টালজিয়ায়? গলির বাঁকে ধুনুরির টঙ্কারের মতো?

 

 

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৬-০২-২০১৬ইং/মইনু ল হোসেন

 

Tags: