muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন সু চি

suchi

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকমঃ

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ও গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি। বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারজুড়ে আলোচনার ঝড় বইছে। ‘খবর কি সত্যি? না কি গুজব?

 

সম্প্রতি মিয়ানমারের নতুন পার্লামেন্ট ঘোষণা করেছে, আগামী ১৭ মার্চ থেকে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কাজ শুরু করা হবে। এই ঘোষণার পর বার্মিজদের আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে, তাহলে সত্যিই কি সু চি প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন?

 

মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচন ও তার ফল জানার পর কেটে গেছে কয়েক মাস। নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হয়। কিন্তু সেনাবাহিনী-সমর্থিত সরকার ক্ষমতা ছাড়া নিয়ে বেশ সময় নিয়েছে। কেন এই দেরি- তা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়নি বিদায়ী সরকার। এরই মধ্যে কানাকানি হচ্ছে, সু চিই হয়তো প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন।

 

সু চির মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে সাংবিধানিক বাধা রয়েছে। তার দুই সন্তানের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। কোনো নাগরিক বা তার স্বামী-সন্তান বিদেশি নাগরিক হলে তিনি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না- এমন বিধান রয়েছে সংবিধানে। সু চিকে প্রেসিডেন্ট হতে হলে আগে এই বিধান তুলে দিতে হবে।

suchi

এ ছাড়া সু চিকে প্রেসিডেন্ট পদে যোগ্যতা অর্জনের জন্য সাংবিধানিক বাধা কাটাতে পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশের বেশি সমর্থন লাগবে। এক্ষেত্রে তাকে মিয়ানমারের ক্ষমতাশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আতাত করতে হবে। কারণ পার্লামেন্টে ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত রাখা আছে। তাদের পাশ কাটিয়ে সাংবিধানিক বৈধতা নেওয়া সু চির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

 

মিয়ানমারের দ্বিক্ষকবিশিষ্ট পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ এবং সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে একজন করে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ঠিক করা হয়। তারপর সব পক্ষ থেকে যিনি বেশি ভোট পান তিনি হন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট। এবারের নির্বাচনের পর উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে এনএলডির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। যে কারণে প্রেসিডেন্ট তাদের পছন্দেই হতে যাচ্ছে- এটি বলা যায়।

 

নতুন প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা পাবেন আগামী এপ্রিল মাসে। তার আগেই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের একজন উত্তরসূরি নির্বাচন করতে চায় পার্লামেন্ট। তবে সেই প্রেসিডেন্ট কি সু চি, না অন্য কেউ- এ নিয়ে তুমুল গুঞ্জন চলছে মিয়ানমারে।

 

তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন।

 

Tags: