muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

মাগুরার মহম্মাদপুরে ঝর্ণা বেগমকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন, চোঁখ নিয়ে শংকা

মোঃ সোহেল রানা (মাগুরা জেলা প্রতিনিধি):

স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (২৫) কে স্বামী গোলাম মওলা (৩২) লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। যৌতুকের দাবিতে এই অমানুষিক নির্যাতন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম অবস্থায় রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় স্বামী। পরে ঝর্ণার বাবার বাড়ির লোকজন সন্ধ্যায় মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঝর্ণা বেগম এক ছেলের জননী।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, গৃহবধুর অবস্থা গুরুতর। উন্নত চিকিৎসার দরকার। জানান থানার অফিসার ইনচার্জ রিয়াজুল ইসলাম দেখে গেন গৃহবধুটিকে।

ঝর্ণার বাবা উপজেলার রায়পাশা গ্রামের বাসিন্দা আলী আক্কাস মোল্যা জানান, ৬ বছর আগে গোপালনগর গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে গোলাম মাওলার সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও গৃহস্থালি সামগ্রী দেওয়া হয়।

তারপরও নতুন করে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে  তার মেয়ের উপর অমানষিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে।  মেয়ের কথা ভেবে প্রায়ই জামাইকে সাধ্যমতো টাকা দেওয়া হতো। এর মধ্যে সে আরও টাকার জন্য নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

ঘটনার সময় আজ দুপুরে  মওলা  ঝর্ণাকে পুনরায় যৌতুক বাবদ ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে বলে। টাকা এনে না দেওয়ায় রেখাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিঠ করে। লাঠির আঘাতে  গৃহবধুর শরীরের মাথা, চোখ, নাক, পিঠ, ঘাড় ও হাত-পায়ের বিভিন্ন অংশে থেতলে গেছে।

মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ কাজী আবু আহসান  বলেন,  গৃহবধুকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা না করালে বাম চোখের দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

পলাতক থাকায় গৃহবধুর স্বামীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

 

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/১৮-০২-২০১৬ইং/মইনুল

Tags: