muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে সাহসিকতার জন্য সম্মাননা পেলেন এক বাংলাদেশি যুবক

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকমঃ

যুক্তরাষ্ট্রে সাহসিকতার জন্য সম্মাননা পেলেন এক বাংলাদেশি যুবক। মিশিগান অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুর মুখ থেকে এক নারীর জীবন বাঁচানোর জন্য মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ওয়ারেনের সিটি মেয়র কর্তৃক তাঁকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫২ বছর বয়সী এক নারীকে তাঁর মেয়ে  ছুরিকাঘাত করছে এমন দৃশ্য দেখে ওই নারীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন দিদারুল সরদার। নিজের পকেট থেকে পিস্তল উঁচিয়ে ধরে ওই নারীকে ছুরিকাঘাত করা থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করেন তিনি।

ডেট্রয়েট ফ্রি প্রেস নামের সংবাদপত্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়ারেনের বাসিন্দা দিদারুল সরদার জি এম টেকনিক্যাল সেন্টারে চাকরি করেন। কয়েক বছর ধরে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে নিয়ে ঘুরতেন তিনি। তবে এই অস্ত্র কখনও ব্যবহার করেননি তিনি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁর অফিসে হঠাৎ একজন ট্যাক্সিচালক প্রবেশ করেন। এ সময় সাহায্যের প্রয়োজন বলে চিৎকার করতে থাকেন ওই চালক।

দুই সন্তানের জনক দিদারুল দৌড়ে অফিসের বাইরে চলে আসেন। এ সময় তিনি দেখতে পান, এক নারী অপর একজন নারীকে ছুরিকাঘাত করছেন। যখন অন্যরা ছুটাছুটিতে ব্যস্ত তখন নিজের বৈধ অস্ত্র তুলে ধরে হামলাকারীকে ছুরিকাঘাত করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। ছুরিকাঘাত করা হলে গুলি করারও হুমকি দেন দিদারুল। পরে ওই নারী ছুরিকাঘাত করা থেকে বিরত থাকেন।

৩২ বছর বয়সী চেভোন্নে টেইলর নামের ওই হামলাকারী মানসিক ভারসাম্যহীন। তার মা ৫২ বছর বয়সী স্টেফানি কেরের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই নারী।
কর্তৃপক্ষ জানায়, জিএম টেকনিক্যাল সেন্টার ভবনের সামনে ওই নারী তার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান। ওই ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা গেছে, স্টেফানে কের ভবনের বাইরে তাঁর মেয়ের কাছে আসেন তিনি। পরে চেভোন্নে টেইলর তার মায়ের পেট, পিঠ, গলায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। অর্ধ কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ দর্শকের ভূমিকা পালন করলেও দিদারুল পারেননি। ছুটে যান ওই নারীর প্রাণ বাঁচাতে।

তবে এ ঘটনার পর জিএম টেকে দিদারুলের চাকরি রয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। অফিসে কোনো ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অনুমতি না থাকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত দিদারুল চাকরি হারিয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। দিদারুল জানান, তিনি সঠিক কাজটিই করেছেন। এ ধরনের কাজ তিনি সারা জীবন করে যেতে চান। এই সাহসিকতার জন্য ওয়ারেনের সিটি মেয়র তাঁকে সম্মাননা দিয়েছেন। এ ছাড়া শেবলি শহরের এলিগ্যান্ট জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে দিদারুলকে এক হাজার মার্কিন ডলার ও একটি সনদপত্র দেওয়া হয়েছে।

Tags: