muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি

চৈত্র মাস থেকেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রচণ্ড দাবদাহ। গরমের দাপটে প্রাণান্তকর অবস্থা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মানুষের। কলকাতা শহরেও গরম সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে। গত ৬২ বছরের যাবতীয় রেকর্ড ছাড়িয়ে গরম পৌছে গেছে ৪০ ডিগ্রির উপরে।

গতকাল পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি। আজ বুধবার সকাল থেকেই চড়চড় করে চড়ছে পারদের স্তর। দুপুর পার হতে না হতেই তা ৪০ ডিগ্রির ঘর পার করেছে। গরমে কলকাতার গড়িয়া স্টেশনে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের।

পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা বীরভূম জেলায়। এখানে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৬.৩ ডিগ্রি। পশ্চিমবঙ্গের বীরভুম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিনই পারদের স্তর চড়ছে। গরমের চোটে আসহনীয় অবস্থা হয়েছে মানুষের। গরমের দাপটে বিধানসভা ভোটের প্রচারেও ছেদ ঘটছে। প্রার্থীরা দুপুরের পর আর প্রচার করতে ময়দানে নামতে পারছেন না। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলগুলো আগাম গরমের ছুটি ঘোষণা করেছে। অনির্দিষ্ট কালের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে গরমের ছুটি।

কবে গরমের হাত থেকে অব্যাহতি ঘটবে তার উত্তর দিতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা। মূলত এল নিনোর প্রভাবেই এই রকম অসহনীয় গরম পড়ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। জুন-জুলাই মাসে এল-নিনো ক্রমশ সরে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে প্রবল গরমে রাস্তায় বেরনোই বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। দুপুর হতে না হতেই কলকাতার রাস্তাঘাট প্রায় সুনশান অবস্থা। নেহাত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হচ্ছে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, ছাতা নিয়ে তবেই রাস্তায় বেরোতে বলছেন চিকিৎসকরা।

পশ্চিমবঙ্গে এবার চৈত্রের গরম রেকর্ড রীতিমতো টেক্কা দিয়েছে যেকোনো মরু শহরকে। সকাল থেকেই মাথার ওপর ঝরছে আগুন। বাতাসে বইছে আগুনের হল্কা। স্বাভাবিকের থেকে কোথাও ৫ ডিগ্রি, আবার কোথাও ৭ ডিগ্রি বেশি গরম।

২০০৯ এবং ২০১৪ সালের এপ্রিলে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবারই ভেঙে গেছে সেই রেকর্ড। সোমবার মরু শহর জয়সলমীরের তাপমাত্রা যেখানে ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে সোমবার কলকাতা ছিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কলকাতার পাশাপাশি চৈত্রের শেষ বেতালে পুড়ছে গ্রাম বাংলাও। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। একদিকে, তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে লাফিয়ে বাড়ছে আর্দ্রতার সূচক। ফলে গরমের সাঁড়াশিচাপে নাজেহাল অবস্থা পশ্চিমবঙ্গবাসীর।

আবহাওয়াবিদদের মতে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া উচ্চচাপ বলয় এই সময় দক্ষিণবঙ্গে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢোকায়, এবার তা হয়নি। ফলে এখনো দানা বাঁধেনি মেঘ। যে কারণে দেখা নেই কালবৈশাখীর। ফলে দুর্বিষহ গরমের মধ্য দাঁড়িয়েই রীতিমতো গলদঘর্ম হয়েই এ বছর রাত পোহালে পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে হচ্ছে বাঙালিকে।

মুক্তেোযাদ্ধার কন্ঠ ডটকম/14-04-2016/মইনুল হোসেন

Tags: