muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

সদস্য কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বিডিআর সদস্যরা জঙ্গি কর্মকান্ডে যুক্ত হতেপারে বলে আশঙ্কা

মুক্তিযোদ্ধারকণ্ঠ ডেস্কঃ ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সাজাভোগ শেষে কারাগার থেকে এরইমধ্যে মুক্তি পেয়েছেন বেশ কয়েকজন বিডিআর সদস্য। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন আরো অনেকে। এদের মধ্যে কিছু সদস্য কারাগার থেকে মুক্তির পর নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে। এ জন্য মুক্তি পাওয়া বিডিআর সদস্যদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন একটি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।প্রতিবেদনটি এরইমধ্যে পৌঁছে গেছে পুলিশের সব ইউনিটে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডে প্রায় ৬ হাজার বিডিআর সদস্যকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৫ হাজার ৯২৬ জনকে বিচারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন বিশেষ আদালত। অন্যদিকে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনায় শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় দেন ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত। রায়ে ১৫২ জনকে ফাঁসি, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ২৭৭ জনকে খালাস দেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে ১৪ জন এখনো পলাতক।

প্রতিবেদনটিতে আশঙ্কা করে বলা হয়েছে, শিগগিরই একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক সাবেক বিডিআর সদস্য সাজাভোগ শেষে কারাগার থেকে মুক্ত হবেন। তারা সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কারামুক্ত হয়ে তাদের কেউ-কেউ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারেন। যে কারণে কারাগার থেকে মুক্ত প্রতিটি বিডিআর সদস্যের ওপর নজরদারি করা জরুরি।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, যেসব সাবেক বিডিআর জওয়ান কারাগার থেকে মুক্ত হচ্ছেন তাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে নজরদারির আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ২৭ -০৬-২০১৬ ইং/মো: হাছিবুর রহমান

Tags: