muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

আ. লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে লোক নাই, সমাবেশ একদম ফাঁকা

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডেস্কঃ স্থান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। সময় সোমবার বিকাল। মূল স্তম্ভের বেদিতে জুতা পায়ে অবাধে বিচরণ। তাছাড়া ব্যাপ্তি বেশিক্ষণ হওয়ায় সমাবেশ শেষ হওয়ার আগেই অনেক নেতাকর্মীকে সমাবেশস্থল ত্যাগ করে চলে যেতে দেখা যায়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের চিত্র এটি।

৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী ভাষাসৈনিকদের স্মরণে নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মানার্থে খালি পায়ে ওঠার নিয়ম থাকলেও প্রায়শই বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কর্মসূচিতে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে এই নিয়ম।

সোমবার সে নিয়ম উপেক্ষা করা হলো আরো নগ্নভাবে। অথচ এই সমাবেশে অংশ নেয় বিভিন্ন প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার উদার রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। এদিকে ১৪ দলের এই সমাবেশে প্রত্যেক নেতাকর্মীর হাতে জাতীয় পতাকা রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন জোটের শীর্ষ নেতারা। অথচ বাস্তবে বেশিরভাগ নেতাকর্মীর হাতেই পতাকা ছিল না।

অন্যদিকে বি ৩টায় অনুষ্ঠান শুরু হলেও দুপুর ২টা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করায় সমাবেশস্থল অনেকটাই পরিপূর্ণ ছিল। তবে এমন চিত্র বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে সমাবেশস্থল ত্যাগ করতে থাকেন নেতাকর্মীরা।

এমন অবস্থার পেছনে বৃষ্টিকে দায়ী করেন জোটের নেতাকর্মীরা। কিন্তু বাস্তবে বৃষ্টি স্থায়ী হয়েছিল অল্প সময়। ওই সময় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছিলেন, আমাদের নেত্রী রাত জেগে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন, আর আমরা সামান্য বৃষ্টিতে থাকতে পারবো না কেন? তিনি সমাবেশে সবাইকে থাকার অনুরোধ করেন। কিন্তু সেটিও রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন নেতাকর্মীরা।

তবে সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের অনেকেই জানান, সমাবেশের সময়কাল বেশি হওয়ায় আমাদের অনেকেই ধৈর্য হারা হয়ে সমাবেশ স্থল ত্যাগ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে যারা নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের নিয়ে এসেছেন, তারাই অল্প সময় থেকে চলে যাচ্ছেন। তাদের দেখাদেখি অন্যরাও চলে যায়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সভাপতির বক্তৃতা চলাকালীন শহীদ মিনার এলাকায় লোক সংখ্যা ছিল একেবারে নগণ্য।

 

 

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/     ১২- ০৭-২০১৬ ইং/মো:হাছিব

Tags: