আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হয়েই থেরেসা মে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন শুরু করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদে এনেছেন পরিবর্তন। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বরিস জনসন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে জর্জ ওসবর্নির স্থলাভিষিক্ত হলেন ফিলিপ হ্যামন্ড। এ ছাড়া আমবার রুড স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ব্রেক্সিট প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ডেভিড ডেভিস।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে থেরেসা মে মন্ত্রিপরিষদে কয়েকটি পদে নতুন নিয়োগ দেন। দু–একদিনের মধ্যে তিনি মন্ত্রিপরিষদ পুনর্গঠনের কাজ শেষ করবেন। মন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে ব্রেক্সিট সমর্থনকারীরা পুরস্কৃত হবেন। গুরুত্ব পাবেন নারীরাও।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ৬০ বছর বয়সী ফিলিপ হ্যামন্ড ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সদ্যবিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এর আগে তিনি প্রতিরক্ষা ও পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড ক্যামেরন সরকারের মন্ত্রিপরিষদে কোনো পদে না থাকলেও লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন এবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়ার পক্ষে প্রচারে তিনি অন্যতম মুখ্য ভূমিকা রাখেন। ৫২ বছর বয়সী জনসন ব্রিটেনের রাজনীতির অতিপরিচিত মুখ হলেও তাঁর আগের কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নিয়োগকে ‘খুব বড়’ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমবার রুডথেরেসা মের নিজের ছেড়ে যাওয়া পদটি দিয়েছেন আরেক নারীকে—তিনি ৫২ বছর বয়সী আম্বার রুড। মাত্র এক বছর আগে জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। এবার নতুন মন্ত্রিপরিষদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন।
ব্রেক্সিট প্রধান ডেভিড ডেভিস৬৭ বছর বয়সী ডেভিড ডেভিস ব্রেক্সিট প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। নতুন দায়িত্বের আগে তিনি কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান এবং ছায়া উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০০৩ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে মাইকেল হাওয়ার্ড এবং ডেভিড ক্যামেরন—দুই সরকারের অধীনেই ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন ডেভিড ডেভিস।
মন্ত্রিপরিষদে স্থান পাননি বিচারমন্ত্রী মাইকেল গোভ। নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠনের সময় তাকে বরখাস্ত করেছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। শিক্ষামন্ত্রী নিকি মর্গ্যান এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী জন হুইটিংডেলও মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। এদিকে জেরিমি হান্টও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে থাকছেন না। তবে তিনি মন্ত্রিত্ব হারাচ্ছেন না। তাকে নতুন কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে