muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সম্পর্কে জ্ঞাত – প্রধানমন্ত্রী

 মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সম্পর্কে জ্ঞাত রয়েছেন বলে উপাচার্যকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জানান, সমস্যা নিরসনে ২৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প’ অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্প যাতে দ্রুত একনেকে অনুমোদিত হয়, সেই ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন।

বুধবার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমানের বৈঠক হয়। আর বেলা ৩টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ সব তথ্য জানান।

এ সময় উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা নিরসনে সর্বদা সচেষ্ট ছিল এবং আছে। একাডেমিক ভবনের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আশা করা যায়, উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের ফলে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে ক্লাস সংকট নিরসন করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া ‘বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব হল’-এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে ছাত্রীদের আবাসন সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হবে।

তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অধিকতর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পূর্বাচল প্রকল্পে ১৫ লাখ টাকা জামানত দিয়ে প্রায় ৫০ একর ভূমি বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে আমার বৈঠকে তিনি শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা দূর করা জরুরি বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয় কিংবা আন্দোলনে জনদুর্ভোগ প্রকট আকার ধারণ করে- এ রকম কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।’

ড. মীজানুর রহমান জানান, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প’ এর অধীনে প্রায় ১২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্তমানে বিজ্ঞান ভবনের স্থানে ২০ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক একাডেমিক ভবন, ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’ এবং ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। এটি একনেকে অনুমোদন হলেই কাজ শুরু করা যাবে।

প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না- এমন ঘোষণার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যেতে চায়। আমরাও নিয়ে যেতে চাই। ১১ সদস্যের কমিটির সঙ্গে কথা বলে শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়ে দাবি জানিয়ে আসতে পারেন।’

 

Tags: