এস কে শাহিন নবাব, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অদ্য ২৮-১০-২০১৬ইং শুক্রবার রাত ৮ টায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৪ নং মহিনন্দ ইউনিয়নের চংশোলাকিয়ার মোঃ আব্দুর রশিদ এর দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যা মোছাঃ নারগিছ আক্তারের (১৬) করিমগঞ্জ উপজেলার পিটুয়া, কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের লিয়াকত আলীর ছেলে মোঃ ফরহাদের সাথে আত্নিয় সুবাদে কাজী নিয়ে বাল্যবিয়ে পড়াতে চাইলে গ্রাম পুলিশ নূরুল ইসলাম তাৎক্ষনিক বিষয়টি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ কে জানান।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতে পেরে এস আই সঞ্জয় কুমার বনিক, ৬ জন পুলিশ সদস্য এবং মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠের সাংবাদিক সহ তৎক্ষণাৎ বাল্যবিয়ের অভিযানে বের হন এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মোবাইল কোর্টের সংবাদ শুনে কাজী সহ বড়পক্ষ বিয়ের আসর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেয়ের মাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি এবং মেয়ের বাবাকে তখন ঘটনাস্থলে খুজে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মুনসুর আলী ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বাল্যবিয়ে সম্পর্কে সরকারের বর্তমান পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং এই এলাকায় যেন পরবর্তীতে বাল্যবিয়ে না হয় সেজন্য সকলকে সতকতামূলক পরামর্শ দেন।
বিষয়টি বর্তমানে মোবাইল কোর্টের অধীনে প্রক্রিয়াধীন আছে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৮-১০-২০১৬ইং/ অর্থ