সাহিত্য ও সংস্কৃতিঃ
“হেমন্তকাল”
***রহমান মাসুদ***
হেমন্তের মনোরম নজরকারা প্রকৃতি
ভাবুক মনকে করে ক্ষণেক্ষণে উদাসী,
আনন্দ জোয়ার বাউল মনে দিবানিশি
হে প্রিয় হেমন্ত তোমাকেই ভালবাসি।
ভোরের ঊষার আগমনে সবুজ পল্লব
শিশির স্নানে বিন্দু বিন্দু মুক্ত ঝড়ায়,
মন মাতানো প্রাণ জুড়ানো হিমেল বায়ুর
শীতল ছোঁয়ায় হৃদয়ের তৃপ্তি বাড়ায়।
মধ্য গগনে প্রভাকরের তেজের বৃদ্ধি
স্নিগ্ধ মধুমাখা কিরনে দুপুরেরই প্রাপ্তি,
মাঠে মাঠে সোনার ধানের অপূর্ব ঘ্রাণ
শোনায় নবান্ন উৎসবের আগমনী গান।
কাঁচা সোনা মিষ্টি রোদ্রের সৌম্য বিকাল
বাঁশি সুরে গভীর ঘোরে মগ্ন রাখাল,
সুরের মূর্ছনায় দিবাকরের বিদায় ঘন্টা
ঈশাণ কোণের রক্তিমতায় আপ্লুত মনটা।
সন্ধ্যার গোধূলি লগ্নে পাখির কলরব
মেলে হালকা হালকা কুয়াশার অবয়ব,
সারা দিনের কর্তিত ধান গাছ স্তুুপাকার
প্রস্তুতি ঘরে ঘরে মারাইয়ের ব্যবস্হার।
রাতে মেঘমুক্ত নির্মল নীল আকাশ
পূর্নিমার আলোতে মারাইয়ের অবকাশ,
উঠানে মহা ধুমধামে ধানের মলন
আত্নতৃপ্তিতে ফসল গোলায় সংরক্ষন।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৩-১১-২০১৬ইং/ অর্থ