muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কৃষি

বগুড়ায় প্রতিদিন কোটি টাকার সবজি বিক্রি

কৃষি সংবাদ,

 

বগুড়ায় আগাম সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিদিন অন্তত কোটি টাকা মূল্যের সবজি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মোকামে যাচ্ছে। তিনগুণ লাভ হওয়ায় কৃষকরা খুশি রয়েছেন।

নভেম্বরের শেষ থেকে মধ্য মার্চ পর্যন্ত প্রকৃত মৌসুমেও ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত অক্টোবরের প্রথম থেকে এ জেলায় রবি মৌসুমের আগাম সবজি চাষ শুরু হয়েছে। বর্তমানে বাজারে ফুলকপি, পাতা কপি, মুলা, পানি লাউ (ছাচি), মিস্টি লাউ, সিম, শশাসহ বিভিন্ন সবজি কেনাবেচা চলছে।

এ মৌসুমে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়। আর ফলনপ্রতি হেক্টরে ২২ মেট্রিক টন। বর্তমানে হেক্টরপ্রতি ১৬ টন করে সবজি পাওয়া যাচ্ছে।

বুধবার সকালে বগুড়ার মহাস্থানে সর্ববৃহৎ সবজি হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের সবজি কেনা-বেচা চলছে। প্রতিমণ ফুলকপি ৯৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২৫০ টাকা, পাতা কপি প্রতি ১৬ টাকা থেকে ২৫ টাকা, মুলা প্রতিমণ ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ২২ টাকা থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শিবগঞ্জ উপজেলার গাড়িদহ বাকসন্ধ্যা গ্রামের কৃষক শিবলু মিয়া জানান, প্রায় ৫ বিঘা জমিতে ৫ হাজার পিস ফুলকপি লাগিয়েছিলেন। প্রতি বিঘায় সবমিলিয়ে খরচ পড়ে ১৫ হাজার টাকা। আর তিনি ফুলকপি বিক্রি করবেন ৬০ হাজার টাকা।

গাবতলী উপজেলার মিরপুর গ্রামের কৃষক সুজাউল জানান, তিনি এবার ৫০ শতক জমিতে সাড়ে ৬ হাজার পিস পাতাকপি লাগিয়েছিলেন। ফলন পাওয়া যাবে অন্তত সাড়ে ৫ হাজার পিস। প্রতিপিস বাধাকপিতে খরচ পড়েছে ৫ টাকা।

শিবগঞ্জের পারআঁচলাই গ্রামের কৃষক হাসনুর জানান, তিনি এ বছর ৩০ শতক জমিতে মুলা লাগিয়েছিলেন। প্রতিমণ মুলা বিক্রি করছেন, হাজার টাকা দরে। খরচ হয়েছিল ৪০০ টাকা।

এ ছাড়া হাটে আসা কৃষকরা জানান, বর্তমান বাজার দর অনুসারে তারা অনেক লাভ করছেন। তবে কয়েকদিন পর অধিক পরিমাণে সবজি হাটে আসবে। তখন মূল্য কমে গেলে তাদের লোকসান হবার আশঙ্কা রয়েছে।

মহাস্থান হাটের অন্যতম বৃহৎ আড়তদার শামীমা ট্রেডার্সের মালিক নাগরকান্দি গ্রামের আবদুল জলিল জানান, এ হাটে অন্তত ৫০ জন আড়তদার কাঁচা শাকসবজি কিনে থাকেন। বর্তমানে প্রতিদিন অন্তত কোটি টাকার সবজি কেনাবেচা হয়ে থাকে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রতুল চন্দ্র সরকার জানান, চলতি রবি মৌসুমে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো মূল্য পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি রয়েছে।

 

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ১৬-১১-২০১৬ ইং / মো: হাছিব

Tags: