muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

পাকুন্দিয়ায় আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়া প্রতিনিধি,

চলছে অগ্রাহায়ন মাস । পাকা ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণে ভরপুর হয়ে উঠেছে গ্রাম। জমির সোনালী ধান ঘরে তোলার পালা চলছে। পাকুন্দিয়া উপজেলায়ও লেগেছে ধান কাটার ধুম। পাকা ধান ঘরে তোলার আনন্দে মতোয়ারা কৃষকরা। অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান কাটার উপযুক্ত সময় হলেও কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয়েছে ধানকাটা। কৃষক পরিবারগুলোতে চলছে ধান মাড়াই, ঝাড়া-বাছাইয়ের কাজ। বাছাই শেষে শুকোনো হবে দু’একদিন তারপর তোলা হবে গোলায়। তা থেকে ভালো জাতের ধানের বীজ রাখা হবে নতুন করে চারা তৈরির জন্য। নতুন ধানের নতুন চাল দিয়ে ঘরে ঘরে তৈরি হবে পিঠাপুলি আর পায়েস।

পাকুন্দিয়া উপজেলা সুখিয়া, জাংগালিয়া, হোসেন্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় ফসল অনেকটা ভালো হয়েছে। অগ্রীম ফসল ঘরে তুলতে পেরে মহা খুশি তারা।

উপজেলা কৃষি অফিসার গোড় গোবিন্দ্র দাস বলেন উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ১০হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের আবাদকরা হয়েছে। আমন ধান চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারে এবং কৃষকরা যেন আমন চাষে কোন প্রকার সমস্যায় না পড়েন একজন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর দিয়েছি। সেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত সমাধান নেওয়ার চেষ্টা করেছি।

কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে নবান্ন উৎসব। এসময় নিকট আত্মীয়ের সমাগম ঘটবে বাড়িতে বাড়িতে। শত ব্যাস্ততার মাঝেও নবান্নের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় কৃষকরা। বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ এখন সোনালি ধানে ভরপুর। প্রকৃতিতে বিরাজ করেছে পাকা আমন ধানের সু-মিষ্ঠি গন্ধ। অগ্রহায়ণের ভরা ক্ষেতের দিকে তাকালেই পাকা ধানের মধুর হাসি চোখে পড়ে। হৃদয়টা জুড়িয়ে যায়। কৃষকের অপেক্ষার পালা শেষ, আমন ধান ঘরে তোলার সময় এখন। আষাঢ়ের শেষ থেকে শ্রাবণের মাঝামাঝি সময়ে আমন ধান বোনার কাজ চলে। কার্ত্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে ধান পাকলে শুরু হয় কাটা। এ ধান আমাদের দেশে হৈমন্তিক ধান নামেও পরিচিত।

 

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ১৯-১১-২০১৬ ইং / মো: হাছিব

Tags: