muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

বিশেষ প্রতিবেদন

এই হচ্ছে ভাষা শহীদদের আত্নত্যাগের বিনিময়

মৌমিতা তাসরিন, কিশোরগঞ্জঃ  

“আমি মুগ্ধ আমি প্রীত, আমাকে স্বীকৃতি দিয়েছে, আমার প্রাণের কথা আমার ভাষায় জানাতে পারব বলে আমার হৃদয় স্পন্দন বেড়েছে। সত্যি গর্বিত আমি”। ১৯৫২ সালে ২১ শে ফ্রেব্রুয়ারি বাঙালির রক্তঝরা এ দিনটিকে ইউনেস্কো সম্মন জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। প্রতিবছর ২১ শে ফ্রেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়। তাদের জন্য আজ আমরা স্বাধীন দেশে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। এই শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মাতৃভাষা ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা থাকা উচিত, সম্মান দেখানো উচিত।

কিন্তু কিছু অসাধু লোক আছে যারা শহীদদের সম্মন দিতে জানে না। ২১.১০.১৬ইং তারিখে নরসিংদী সরকারি কলেজে কিছু আদু ভাই জুতা পায়ে, হাতে ব্যানার নিয়ে শহীদ মিনারের ওপর উঠে ঘুরছে। তাদের মনে খুব আনন্দ, তারা বলতে পারবে বাউবি থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের এই বয়সে লেখাপড়া সুশিক্ষায় শিক্ষিক হয় না, লোক কে জানানো মাত্র সে এইচএসসি পাস। কলেজ – চলাকালীন সময়েও দেখি ছেলে – মেয়েরা শহীদ মিনারে জুতা পায়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে। বাদাম,ছোলাবুট খেয়ে শহীদ মিনার নোংরা করছে। যারা জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে তাদেরকে আমরা কি শিক্ষিত, নাকি ওরা পরিবার থেকে শিক্ষা পাইনি।যারা জুতা পায়ে শহীদ মিনার বিজয় স্তম্বে ওঠে তারা শিক্ষিত নয় তাদের মূর্খ বলাই শ্রেয়। কথায় আছে যার নয়ে হয় না তার নব্বই এও হয় না।

ঠিক তেমনি এসব মূর্খ আর অসাধু ব্যক্তিদের ও হিতাহিত বোধ কোন দিনও হবে না। একজন শিক্ষিত জাতিই পারে শহীদের মর্যদা দিতে এবং সম্মান করতে। যারা এসব কাজ করে তারা মাত্র লোক দেখানো পরীক্ষায় পাস করে এবং সার্টিফিকেট অর্জন করে। খুব কষ্ট লাগে তাদের যখন দেখি জুতা পায়ে শহীদ মিনারে হাটাহাটি করছে। তাই সকল পরিবারদের উদ্দেশ্য করে বলছি আপনার সন্তানকে সামাজিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলুন এবং স্বশিক্ষায় শিক্ষিত করুন। তাহলেই তাদের দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্তন হবে।

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৩-১২-২০১৬ইং/ অর্থ

Tags: