muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

ভৈরবে আল্-নূর বিদ্যানিকেতনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

রাজিবুল হক সিদ্দিকী, কিশোরগঞ্জঃ 

গতকাল ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখ মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শান্তিনগরের আল্-নূর বিদ্যানিকেতনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক গৃহকোণের সম্পাদক আলহাজ এম এ লতিফ, শিমুলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ডা: মো: নুরুল ইসলাম, ভৈরব কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: মাসুম বিল্লাহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ওস্তাদ সুরেন্দ্র বর্মণ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মণ, আল্-নূর বিদ্যানিকেতনের পরিচালক আলমগীর হোসেন আপন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আল্-নূর বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা রেজিয়া সিদ্দিক।

এছাড়াও এ সময় স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকবৃন্দ, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারিরীক বিকাশে সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম অপরিহার্য। প্রাত্যহিক এসেম্বলী, ইনডোর-আউটডোর গেমস, বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, নাট্যানুষ্ঠান, অভিনয়, আবৃত্তি, ম্যাজিক শো, নিরক্ষরতা দূরীকরণ অভিযান, বৃক্ষরোপন অভিযান, দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ, বার্ষিক ম্যাগাজিন রচনা, শিক্ষা সফর ইত্যাদি সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের আওতায় পড়ে। এগুলোর যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশ ঘটে।

কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে দৈন্য দশা এবং আন্তরিকতার অভাব দেখা যায় যা সমৃদ্ধ জাতি গঠনের জন্যে সহায়ক নয়। শিক্ষার্থীদের এখন আর শরীর চর্চা কিংবা খেলাধূলার খুব একটা সুযোগ নেই। এখন তারা কাঁধে বই-খাতার বিশাল বোঝা নিয়ে ছুটছে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও আজকাল অনেক স্কুলে হয় না। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডও স্থবির। এক সময় গ্রামা লে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খুবই জনপ্রিয় ছিল। গান-নৃত্য-আবৃত্তি-গল্প বলা, এমন কি বির্তক প্রতিযোগিতা পর্যন্ত আয়োজন করা হতো। ফলে, ছেলে-মেয়েদের প্রতিভার বিকাশের সুযোগ ঘটতো।

দেখা যায়, অনেক নামী-দামী শিল্পী ও খেলোয়াড় জীবনে প্রথম অংশগ্রহণ ও পুরস্কার লাভ এই স্কুল জীবনেই পেয়েছে। তিনি আল্-নূর বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থীদেরকে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে উঠার জন্য আহবান জানান। উল্লেখ্য, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।

 

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৮-০২-২০১৭ইং/ অর্থ 

Tags: