muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

নান্দাইলে নূরু কাজীর দৌড়াত্ম এলাকাবাসী অতিষ্ঠ : সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৯নং আচারগাঁও ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার মোঃ নূরুল ইসলামের অবৈধ কর্মকান্ডে নান্দাইল পৌরসভা সহ আচারগাঁও ও চন্ডীপাশা ইউনিয়নের জনগন অতিষ্ঠ বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। নূরুল ইসলাম জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ৯নং আচারগাঁও ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার পদে নিয়োগ লাভ করেন বলে তার কাগজপত্রে নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়। সরকারের নিকাহ রেজিস্টার নিয়োগ বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দারা নিয়োগ পাবে। নূরুল ইসলাম ৯নং আচারগাঁও ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার হিসাবে নিয়োগ গ্রহন করার সময় তিনি ১২নং জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের দৈউলডাংরা গ্রামে পৈত্রিক নিবাসের স্থায়ী নাগরিক ছিলেন এবং তার প্রতিষ্ঠিত তার নামে দৈউলডাংরা নূরুল ইসলাম মাদ্রাসার তিনি একজন এবতেদায়ী ক্বারী শিক্ষক হিসেবে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন। অথচ তিনি মাদ্রাসায় না গিয়ে বেতন ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি নান্দাইল পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের হাসপাতাল রোডে বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করে আসছেন ও তিনি এখানকার একজন ভোটার। তার ভোটার নং- ০৩৯২, জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ৬১২৪৯১১৬৯৯৯০। গত ২৮ এপ্রিল ২০১৬ নান্দাইল পৌরসভার নিকাহ রেজিস্টার হুমায়ুন কবির খানের মৃত্যুর পর তিনি তথ্য গোপন করে নান্দাইল পৌরসভার অতিরিক্ত দায়িত্ব লাভ করেন। কিন্তু তিনি পার্শ্ববর্তী চন্ডীপাশা ইউনিয়নের অতিরিক্ত দায়িত্বরত থাকায় জেলা রেজিস্টার তাকে নান্দাইল পৌরসভার দায়িত্বভার থেকে অব্যহতি প্রদান করা সত্ত্বেও তিনি নান্দাইল পৌরসভায় নিজে সহ তার একাধিক সহকারী দিয়ে অবৈধভাবে নিকাহ রেজিস্ট্রি করে যাচ্ছেন। উক্ত অর্থলোভী নিকাহ রেজিস্টার নূরুল ইসলাম তার লোকজনের উৎপাতে পৌরবাসী অতিষ্ঠ বলে পৌর এলাকার লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়। পৌরএলাকায় কোন বাড়ি বা মহল্লায় বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে তাকে না জানানো হলেও তিনি পাঁচ ছয় জন সহকারী নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে। গত কিছুদিন আগে পৌরসভার স-মিল এলাকায় এবং সিনেমাহল সংলগ্ন একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে তিনি নিজে সহ ৫জনকে নিয়ে হাজির হন। এতে বিয়ে বাড়ির লোকজন বিব্রতকর পরিস্তিতে পড়েন এবং ৫জনকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করেন। বিয়ে বাড়িতে আগত লোকজন তার এই কর্মকান্ডে তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর তার বিবাহ রেজিস্টি বই আটক করে রাখেন। উক্ত নূরুল ইসলাম ইতিপূর্বে তার অবৈধ কর্মকান্ডের জন্য একাধিক বার জেল হাজতে ভোগেন। সরকারি বিধি মোতাবেক নিকাহ রেজিস্টারদের টিন নম্বর খোলে ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানের বিধান থাকলেও নূরুল ইসলামের নামে কোন টিন নাম্বার নাই। তিনি সরকারকে কোনো ট্যাক্স এবং ভ্যাট প্রদান না করেই বহাল তবিয়তে তার নিকাহ রেজিস্টার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতাল রোডে তার তিনতলা বিশিষ্ট একটি ভবন রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একজন নিকাহ রেজিস্টারের একটি অফিস ও একজন সহকারি থাকার বিধান থাকলেও তিনি পৌরসভাসহ দুইটি ইউনিয়নে প্রায় ৫০/৬০ জন সহকারী নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন এবং এসব অশিক্ষিত মূর্খ সহকারীরা সরকারি বিধানের কোনো তোয়াক্কা না করে মহল্লায় ও পাড়ায় গিয়ে ফটোকপি ফরম দিয়ে বাল্য বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে আসছে। নান্দাইল পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড মহল্লায় প্রায় ৩০/৩৫টি সাইনবোর্ড লাগিয়ে একাধিক সহকারীরা বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে নান্দাইল পৌরসভার মেয়র জনাব মোঃ রফিক উদ্দিন ভুইয়া সাহেবের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কাজী নূরুল ইসলামের অবৈধ ভাবে লাগানো সাইন বোর্ড আমার লোকজন দিয়ে সরানো হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা রেজিস্টারের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এলাকাবাসী কাজী নূরুল ইসলামের অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিকারের দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কাজী নূরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার জন্য জানতে চেয়ে ফোন করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জেনেই ফোন কেটে দেন।

 

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৫-০২-২০১৭ইং/ অর্থ 

Tags: