muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

একের পর এক বিয়ে, ডিভোর্স, মামলা : হোসেনপুরের প্রতারক রোজিনার গল্প

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্টঃ 

কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার দ্বীপেশ্বর গ্রামের তোতা মিয়ার কন্যা তানবিন জাহান রোজিনার বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূত প্রতারণামূলক বিয়ে অতঃপর ডিভোর্স এবং একই উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের (কাজী) আকরাম হোসেনের দ্বারা ভূয়া কাবিননামা তৈরি সহ দেনমোহরের টাকা আদায়ে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ পাওয়া যায়।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়,  তানবিন জাহান রোজিনার সাথে নারায়ন ডহর গ্রামের মাহবুবুল আলম জুয়েলের ২৮-০৬-১৯৯৯ইং তারিখে ভালবাসার মাধ্যমে বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবন চলাকালীন সময়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে রোজিনা তার বাবার বাড়ি চলে আসে এবং স্বামী জুয়েলের নামে মিথ্যা মামলাসহ ১৭-০৩-২০১৬ইং তারিখে ডিভোর্স প্রদান করে। ডিভোর্সের ৬ দিন পর ২৩-০৩-২০১৬ইং তারিখে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার মাহমুদুল হাসান জুয়েলকে কাজী আকরাম হোসেনের দ্বারা নিয়মবহির্ভূত প্রতারণামূলক সাক্ষর নিয়ে ৫,০০,০০০/= টাকা দেনমোহর ধার্যে একটি কাবিন বিহীন বিয়ে করে। বিয়ের ৩ দিন পর ২য় স্বামী মাহমুদুল তার অতীত জীবনের কথা জানতে পেরে রোজিনাকে ছেড়ে চলে যায় এবং ০৪-০৮-২০১৬ইং তারিখে দেনমোহরের টাকা আদায়সহ তাদের ডিভোর্স হয়।

পরবর্তীতে আইনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতারক রোজিনা এবং তার পিতা তোতা মিয়া (কাজী) আকরাম হোসেনের দ্বারা একটি ভূয়া কাবিননামা তৈরি করে যার তারিখ ০৫-০৭-২০১৬ইং।

উল্লেখ্য, রোজিনা ও তার পিতা ১ম স্বামী মাহবুবুল আলম জুয়েলের বিরুদ্ধে হোসেনপুর থানায় একটা মিথ্যা মামলা দায়ের করে, যাহার নংঃ ১২, ২৫-০৫-২০১৪। অতঃপর উক্ত মামলায় কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল হতে ০৩-১১-২০১৬ইং তারিখে নির্দোষ প্রমানিত হয়ে ১ম স্বামী জুয়েল খালাস পান। এবং খালাসের প্রেক্ষিতে প্রতারক রোজিনা ও তার পিতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ১৭/৩০ ধারায় একটি মামলা বর্তমানে চলমান রয়েছে। তার পাশাপাশি গত ২৬-০১-২০১৭ইং তারিখে কিশোরগঞ্জ পারিবারিক আদালতে রোজিনা ৩,৭৮,০০০/= টাকা দাবি করে ১ম স্বামী জুয়েলের বিরুদ্ধে একটি দেনমোহর মামলা দায়ের করে।

প্রতারণাকারী রোজিনার ১ম ও ২য় স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তারা সমস্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এবং আইনমূলক শাস্তির দাবি জানায়।

মামলা চলা অবস্থাতেই প্রতারণাকারী রোজিনা ও তার পিতা তোতা মিয়া এবং (কাজী) আকরাম হোসেন এমন নিয়মবহির্ভূত প্রতারণামূলক বিয়ে ও ডিভোর্সের খেলা খেলছিলো।

এই সম্পূর্ণ ঘটনার কিছু অডিও রেকর্ড এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র “মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠে” সংগ্রহীত আছে। যার দ্বারা নির্দ্বিধায় প্রমানিত হয় যে, প্রতারণাকারীরা আইনের চোখে অপরাধী।

 

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৯-০৩-২০১৭ইং/ অর্থ  

 

Tags: