muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

অর্থনীতি

মুদ্রা পাচারের প্রতিবেদন নিয়ে ‘সন্দেহে’ এনবিআর চেয়ারম্যান

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্টঃ  

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) প্রতিবেদনটির পদ্ধতিগত দিক নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, বলে মনে করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। বুধবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি প্রতিবেদটির সত্যতা সম্পর্কেও সন্দেহ প্রকাশ করেন।

.aligncenter”>এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোন পদ্ধতিতে তারা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন সেটা সুস্পষ্টভাবে প্রতিবেদনে বলা হয়নি। আমরা প্রতিবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এনবিআর মনে করে এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য এলে দেশ ও দেশের জনগণ উপকৃত হবে।’

প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) মঙ্গলবার অর্থ পাচারের তথ্য প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৯১১কোটি ডলার বা প্রায় ৭২ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা পাচার হয়েছে।

নজিবুর রহমান বলেন, ‘সামগ্রিক মূল্যায়নে যে পরিমাণ মুদ্রাপাচারের কথা বলা হচ্ছে সে পরিমাণ হয়তো হবে না, পরিমাণ আরও অনেক কমতে পারে। তবে পরিমাণ যাই হোক না কেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও আমাদের সংস্থাগুলো মুদ্রা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ব্যবস্থা নেবে।’

মুদ্রা পাচার রোধে এনবিআর অনেক দিন ধরে কাজ করছে উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশেষ করে মুদ্রা পাচার আইন, ২০১২ সংশোধনের দাবি এনবিআর করেছে। এনবিআরকে মুদ্রাপাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণে ক্ষমতায়ন করা হলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।’

তিনি বলেন, ‘মুদ্রা পাচার রোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। মুদ্রা পাচারের অনেকগুলো মামলা রুজু করা হয়েছে। বাণিজ্যিক বেশ কিছু মুদ্রা পাচারের ঘটনা তদন্ত করে রহস্য উৎঘাটন ও মামলা দায়ের করেছি।’ মুদ্রাপাচারের অভিযোগে বেশকিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা, কিছু অপরাধীকে গ্রেফতার ও কিছু অপরাধী নজরদারির মধ্যে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Tags: