muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীদের শাস্তির আইন প্রণয়ন করার প্রস্তাব সংসদে গৃহীত

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্টঃ 

একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীদের শাস্তির জন্য আইন প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সংসদে গৃহীত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনে এ সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি। তিনি তার সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের পক্ষে বলেন, গণহত্যা ও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিচারের জন্য এখনই আইন প্রণয়ন করা হোক। যারা গণহত্যাকে অস্বীকার করে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে, তারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব মানে না, তারা সংবিধান ও জাতীয় পতাকা মানে না। তাই তাদের বিচারের জন্য আইন প্রণয়ন করা হোক। এখনই এই আইন করতে হবে।

প্রস্তাবটি গ্রহণকালে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি যে বক্তব্য তুলে ধরেছেন তা ঐতিহাসিক। তার প্রস্তাব অত্যন্ত সময়োপযোগী। এই প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করলাম। তবে আমি বলে রাখি, এ-সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। এই আইনের নাম দেওযা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি রোধ আইন’। এটি অতিসত্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠবে। বর্তমান সংসদের মেয়াদকালেই এ আইন পাশ হবে।

ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এই প্রস্তাবকে সসর্থন করে অবিলম্বে আইন করার দাবি জানান, অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, নুরজাহান বেগম, এম এ আউয়াল, এ কে এম রহমতউল্লাহ, বেগম আখতার জাহান, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মামুনুর রশিদ কিরণ, গাজী গোলাম দস্তগীর ও শফিকুল ইসলাম শিমুল।

এর পর ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি ভোটে দিলে তা সর্বসম্মতিক্রমে কণ্ঠভোটে পাশ হয়। এ সময় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

Tags: