muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

শিক্ষা

৩৫তম বিসিএসে আরও ১৬০ জনকে প্রথম শ্রেণিতে নিয়োগে সুপারিশ

শিক্ষা রিপোর্ট :

৩৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে দ্বিতীয় দফা আরও ১৬০জন প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। রবিবার বিকালে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তথ্য বিভ্রাটের কারণে ১১জনের ফল স্থগিত রেখেছে কমিশন। পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, প্রথম দফায় গত এপ্রিল ১৭ এপ্রিল প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে ৩৯৮জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। তৃতীয় দফা প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে আরও শতাধিক পরীক্ষার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। তারপর দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশের চিন্তা আছে।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আইম নেছারউদ্দিন বলেন, নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা-২০১০ এবং গত ২০১৪ সালের ১৬ জুন জারিকৃত সংশোধিত বিধি অনুসরণ করে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত ১ম শ্রেণির শূন্য পদের তালিকার ভিত্তিতে সুপারিশ চলমান রয়েছে। প্রথম শ্রেণির পদের সুপারিশ সম্পন্ন হলে দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সুপারিশ প্রদান করা হবে। ফলাফল পিএসসির ওয়েবসাইট www.bpsc.gov.bd তে পাওয়া যাচ্ছে।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩১ মে’র মধ্যে তৃতীয় দফায় আরও ১১২ জনের মতো প্রথম শ্রেণির পদে সুপারিশের পরিকল্পনা আছে কমিশনের। সেই লক্ষে পিএসসির সংশ্লিষ্টরা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারপর দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। জুনের মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করে ৩৫তম বিসিএসের কার্যক্রম শেষ করতে চায় পিএসসি। কমিশনের ইতিহাসে এই বিসিএস থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হচ্ছে।
প্রকাশিত ফলাফলে সাব-রেজিস্ট্রার পদে ৪২জন, সমাজসেবা অফিসার পদে ২১জন, সহকারী পরিচালক (ভূ-তত্ত্ব) ১৯জন, উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার পদে ১৬জন, ইন্সট্রাক্টর (টেক) ইলেকট্রনিক্স পদে ৬জন, ইন্সট্রাক্টর (টেক) কম্পিউটার ৪জন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা পদে ৫জনসহ সবমিলিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ৩৬টি পদে ১৬০জন নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
গত বছরের ১৭ আগস্ট ৩৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৫ হাজার ৫৩৩ জন উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে ২ হাজার ১৫৮ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও পদস্বল্পতার কারণে ৩ হাজার ৩৫৯ জনকে নন-ক্যাডারের জন্য রাখা হয়। গত নভেম্বরে নন-ক্যাডারে নিয়োগের জন্য প্রথমবারের মতো অনলাইনে আবেদনপত্র নেয়া হয়েছে। ২ হাজার ৬২৬ জন এতে আবেদন করেছেন।
২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ৩৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। সর্বোচ্চ দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন প্রার্থী নিয়ে ২০১৫ সালের ৬ মার্চ ৩৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিসিএস বিধিমালা সংশোধনের পর নতুন নিয়ম ও সিলেবাসে ২০০ নম্বরে দুই ঘণ্টার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেয়া হয়। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ছিল এক নম্বর। আর ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা হয়। আগে ১০০ নম্বরে এক ঘণ্টা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। ওই বছরের ৮ এপ্রিল প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি, যাতে উত্তীর্ণ হয় ২০ হাজার ৩৯১ জন। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়, শেষ হয় ১০ অক্টোবর। ২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারি ৩৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে তাতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৮৮ জন। আর ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। চূড়ান্ত ফলাফলে ২ হাজার ১৭৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল পিএসসি। এর মধ্যে গত ২রা এপ্রিল সরকার ২ হাজার ৭৩জনকে নিয়োগ দিয়েছে। খবর-দৈনিক ইত্তেফাক

 

 

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/১৪-মে-২০১৭ইং/নোমান

Tags: