muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্ট: 

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে হবে। বিধিবিধান মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে হবে।

যারা নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠদান পরিচালনা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী দেশের বাস্তবতা এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ সকল প্রকার ব্যয় একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থিতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বহুমাত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে শিক্ষার্থীদেরকে সম্পৃক্ত করার যথোপযুক্ত পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর থাকতে হবে। বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত ও তথ্য বিপ্লবের সুযোগ গ্রহণ করে তাঁদেরকে যুগোপযোগী মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। দেশের উন্নয়নে মেধার সাথে সৃজনশীলতার সমন্বয় ঘটাতে হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশ যখন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনি একদল স্বাধীনতাবিরোধী এ উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে ব্যাহত করার জন্য ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে তাদের ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের কুমন্ত্রণায় প্ররোচিত হয়ে বেশকিছু তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে বিপথগামী হয়েছে।’ এসব মেধাবী ও সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীরা যাতে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যাদানকারী জঙ্গিদের কবলে পড়ে জীবন ধ্বংস না করে সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য তিনি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ভারতের লক্ষ্মৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. মোজাম্মিল। সমাবর্তনে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন।

সমাবর্তনে ১৭,২৮৪ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেয়া করা হয়। ১০ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর এওয়ার্ড এবং ১৮ জনকে বোর্ড অভ্ ট্রাস্টিজ চেয়ারম্যান এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পদক ও সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।

Tags: