muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের জেনারেটরের বিকট শব্দে সঙ্কিত কলেজ শিক্ষার্থীরা

রাশেদুল ইসলাম আপেল, নীলফামারীঃ

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ভেনচুরা লেদার কোম্পানির জেনারেটরের প্রচণ্ড শব্দে সঙ্কিত নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় সংগলশী ডিগ্রি কলেজ শিক্ষার্থীরা। এখানে শিক্ষক শোনেন না শিক্ষার্থীর কথা। অপরদিকে শিক্ষার্থীও শোনে না শিক্ষকের কথা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম আর বেড়েই চলছে শব্দ দূষণের মাত্রা।

শিক্ষকেরা জানান, তাদের কলেজ উত্তরা ইপিজেড পাশাপাশি। কলেজ সংলগ্ন একটি কারখানার জেনারেটর এই সমস্যা তৈরি করছে। জেনারেটর চলার সময় কলেজের কেউ কারও কথা শুনতে পায় না। এতে একদিকে যেন পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে
অন্যদিকে তেমনি মারাত্মক শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে সহস্রাধিক ছাত্র-শিক্ষক।

ওই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আমির আলী বলেন, যতক্ষণ জেনারেটর চালু থাকে ততক্ষণ আমরা শ্রেণিকক্ষের বাইরে থাকি। কলেজে আসার আগেও ফোন করে খবর নিই জেনারেটর চলছে কিনা। চালু থাকলে ওই সময়ের ক্লাস বর্জন করি। অন্তত আধা কিলোমিটার পর্যন্ত মানুষ এই শব্দদূষণের শিকার হচ্ছে বলেও জানান অামির অালী।

স্থানীয়রা জানান, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ৫০ গজের ভেতর পর্যন্ত স্থাপন করা হয়েছে একাধিক ক্রাশার জেনারেটর। বারবার ইপিজেড কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হলেও সরানো যায়নি এই জেনারেটর। এতে মারাত্মকভাবে শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে ওই কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রতিষ্ঠান ও সচেতন মহল আবেদন করলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

সংগলশী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ বলেন, বিকট শব্দের কারণে আমরা কী পড়াই ছেলে-মেয়েরা বোঝে না। তারাই বা কী বলে, আমরাও ঠিকমতো বুঝি না। এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মুহা. বেলায়েত হোসেন বলেন, শিক্ষার পরিবেশ
যাতে নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৫-০৫-২০১৭ইং/ অর্থ 

Tags: