muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

অষ্টগ্রাম

নাই কিছুই-পাইনা কিস্তা-পরের থাকি আর খাই, এইবার কেমনে বাচুম কে জানে

মন্তোষ চক্রবর্তী, (অষ্টগ্রাম) কিশোরগঞ্জ।।

খাওয়ার মত জায়গা নাই, পাইনা কিস্তা, পরের ঘরে থাকি আর পরেও ঘরেই খায়, কেমনে বাচতাম? এইভাবে কথা গুলো বলেছিলেন, হাওর বেষ্টিত কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনয়নের হালাল পুর গ্রামের মৃত বলরাম দাসের স্ত্রী ষাটোর্দ্ধ বয়সী বৃদ্ধা শ্যামলা রানী দাস।

জমিজমা নাই, তবুও বোরো কাটার মৌসূমে মজুরি বিক্রি ও ধান কেটে নেওয়ার পর জমিতে পরে থাকা ধান কুড়িয়ে এনে জীবন বাচাঁতো। কিন্তু এইবার প্রকৃতি তার বিপরীতে। অকাল বন্যায় জমিজমার শতভাগ তলিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। একে তো ঘরে খাবার নেই অন্য দিকে ঝড়ে কোনো রকম কষ্ট করে তুলা টিন সেটের ঘরটিও উড়িয়ে নিয়ে গেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তছনছ করা ঘরের কিছু অংশ মাটিতে পড়ে আছে।

তিনি জানান, স্বামী সন্তান কিছুই নেই, ঘরে খাবারও নেই, অন্যজনের ঘরে থাকেন। দুর্যোগের আগ থেকে ১০ টাকা কেজি দামে দরিদ্রদের বিতরণ করা পেয়ে থাকতেন কিন্তু বেস কিছু দিন যাবত সেটা পাচ্ছে না। তার ভাগ্যে ঝুটেনি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা সহ দুর্যোগের পর সরকারি কোনো ত্রাণ। চেয়ারম্যান, সরকারি কর্মকর্তা কেও তার খুঁজ রাখে না জানান তিনি। যেমন মিলেনি কোন সাহায্য তেমনি ঝুঁটেনি ভিজিডি ভিজিএফ এর চাল সহ সরকারি কোনো সহায়তা।

এব্যাপারে কলমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাধাকৃষ্ণ দাস কে জিঞ্জাসা করা হলে তার কাছ থেকেও পাওয়া যায়নি সুদূর উওর। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: জাকির হোসেন বলেন, তিনি এই বিষয় কিছু জানেন না।

 

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/০৯-০৬-২০১৭ইং/ অর্থ 

Tags: