কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের মুকাব্বির (২৫) এর নীলা আক্তার (২ বছর ৮ মাস) বয়সী মেয়েকে মোঃ তাজ মিয়ার পুত্র টুটুল (২৫) ধর্ষণ করে আহত করে বাড়ী থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ভেরা গাছের নিচে নৌকায় রেখে পালিয়ে যায়।
গতকাল ১০ আগস্ট সকাল ১১ ঘটিকার সময় মুকাব্বির ও মা লাকী আক্তারের একমাত্র মেয়ে ও শাহ আলমের নাতনী নীলা আক্তারকে (২ বছর ৮ মাস) খেলার ছলে তুলে নিয়ে যায়।
উদ্ধারের পর তাকে চিকিৎসার জন্য মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং পরবর্তীতে তাকে কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
শিশু নীলার মুখে ও বুকে কামড়ের দাগ রয়েছে। গোপনাঙ্গে গুরুতর আঘাত থাকায় তার হাটাচলায় বেথা পায় বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং হাটতে পারেনা।
কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ডাঃ মুক্তা সুলতানা, ডাঃ তাসনিম আরা নীলা ও ডাঃ বিনীতা মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠকে বলেন, চিকিৎসা চলছে। চোখের ফোলাটা কমে আসছে। গোপনাঙ্গে ছিলা-ফুলার কারনে সুস্থ হতে সময় লাগতে পারে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে ধর্ষক টুটুলকে আসামী করে মিঠামইন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের তৎপরতা আশানরুপ নয় বলে জানান নীলার দাদা শাহ আলম।
ধর্ষিত শিশু নীলার মা লাকী আক্তার বলেন, আমার মেয়ের মুখে কথা ফোটার আগেই মেয়ে জাতির সবচেয়ে বড় কলঙ্কের দাগ পড়েছে। এখন সে বেথায় কাদছে। বড় হলে লজ্জায় কাঁদবে। এ ব্যাথা কে শুনবে? আমি এর বিচার চাই। আপনারা আমার চোখের পানি মুছতে আইসেন না। মা মেয়েকে পারলে একসাথে কবর দিয়ে জান। এই বলে মা লাকী আক্তার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পুলিশের কাছে মামলা করতে টাকা লাগে। আমার তো টাকা নাই। আমার মেয়ের ধর্ষণের বিচার কি হবেনা?
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/১১-০৮-২০১৭ইং/ অর্থ