আনিস মিয়া, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :
“শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজন স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জন অংশগ্রহণ” এই দৃঢ় প্রত্যয়কে সামনে রেখে অদ্য ২৪ আগস্ট ২০১৭ তারিখে সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় আহসান উল্লা পৌরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় এর উদ্যোগে ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-(টিআইবি) এর সহযোগিতায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদ্যালয়ের সুশিক্ষণ নিশ্চিতকরণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষায় মায়েদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ এবং বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনরত শিক্ষকমন্ডলীর দায়িত্বপালনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মা সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার ইকবাল হোসেন এর সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আহসান উল্লা পৌরঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এস এম সি’র সভাপতি মোঃ আব্দুল গফুর মির্জা এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুন নাহার ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সনাক সদস্য হেলাল উদ্দিন নয়ন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন অর রশিদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিদ্যালয়ে বর্তমানে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে যেমন বিদ্যালয়ের কোন খেলার মাঠ নেই, সামনেই বারান্দা ঘেসে পুকুর, খাবার পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তিনি বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ, এসএমসি ও এলাকার সাধারণ জনগণ যদি অত্র বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো সমাধানে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেন তবে সার্বিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে। সমাবেশে উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে মায়েদের মধ্য থেকে মতামত/পরামর্শ প্রদান করেন মাজেদা বেগম, ফুলি আক্তার, মুরশিদা খাতুন, জয়নব আক্তার ও মর্জিনা বেগম প্রমুখ। তারা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেন এবং কর্তপক্ষ তার যথাযথ জবাব দেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে শাহীনা আক্তারকে সমন্বয়ক করে ১৩ জন সদস্য নিয়ে এ্যাকটিভ মাদারস কমিটি গঠন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে এ্যাকটিভ মাদারস কমিটির সদ্য নির্বাচিত সমন্বয়ক শাহীনা আক্তার বিদ্যালয়ের জন্য দুটি ফ্যান ক্রয়ের নিমিত্তে সকল মায়েদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং সকল কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
সনাক সদস্য হেলাল উদ্দিন নয়ন তার বক্তব্যে বলেন, আজকের সন্তানই আগমাী দিনের কর্ণধার তাই তাকে উপযুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে মায়েদেরকে অনেক বেশি সময় দিতে হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ের কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে এবং শিক্ষা প্রশাসন আগামী দিনে এই বিদ্যালয়ের ব্যপারে অনেক বেশি তৎপর হবেন এবং অন্যান্য জরুরী সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুন নাহার বলেন, সন্তানকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মায়েদের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। সন্তানকে নিয়মিত বিদ্যালয়ে পাঠানো ও খোঁজ খবর নেয়া প্রত্যেক মায়েরই উচিৎ। তিনি বলেন, এই বিদ্যালয়টি অবকাঠামোগত দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাই সকলের আন্তরিক প্রচেষ্ঠার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো দুর করতে হবে। তিনি এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার অভাব নেইে বলে জানান। সভাপতির বক্তব্যে এসএমসি’র সভাপতি মোঃ আব্দুল গফুর মির্জা বলেন, অত্র বিদ্যালয়ের যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো আন্তরিক প্রচেষ্ঠার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করা হবে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে শিশু শ্রেণির জন্য একটি ফ্যান কিনে দেয়ার ঘোষণা করেন।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/২৩-আগস্ট–২০১৭ইং/নোমান