সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ধর্ষনের পর নৃশংসভাবে হত্যার শিকার কলেজ ছাত্রী রুপাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। শোকে মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রয়েছে।
মা-তিন বোন-দুই ভাইয়ের সংসারে একমাত্র উপার্জনশীল হওয়ায় চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছে পরিবারের সদস্যরা। মা- বোনসহ পরিবার ও গ্রামবাসীর একটাই দাবী নৃশংস হত্যাকারীদের যেন দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ফাঁসি হয়। আকাশ ছোয়া স্বপ্ন ছিল সিরাজগঞ্জেরর তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের আসানবাড়ী গ্রামের জাকিয়া সুলতানা রুপার। বড় হয়ে হয় শিক্ষক না হয় উকিল হয়ে মানুষের সেবা করবে। পরিবারের সবাই বেকার হওয়ায় ছোটবোনকে সাথে নিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকুরী করতো ইউনিলিভার কোম্পানীতে।
শুক্রবার বগুড়ায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার শেষে বাসযোগে রওনা হয় কর্মস্থল শেরপুরে। কিন্তু বাসের মধ্যে কয়েকজন মানুষরূপী হায়েনার কবলে পড়ে নৃশংস নির্যাতন হত্যাকান্ডের শিকার হয় স্বপ্না। বোনকে হারিয়ে বার বার মুর্ছা যাচ্ছে দুই বোন। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুল শাস্তি ফাঁসি দাবী করেছেন তারা যাতে আর কেউ এমন নৃশংঘ ঘটনা ঘটাতে না পারে।
রুপার বড় বোন জেসমিন জানান, পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়ত রূপা। তার মতো ভাল মেয়েকে কেউ এমন নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করতে পারে এ কথা মেনে নিতেই পারছে না। অবিলম্বে দোষীদের শাস্তিও দাবী করছি।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/৩০–আগস্ট–২০১৭ইং/নোমান