muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কটিয়াদী

কটিয়াদীতে ড্রাগন ফল চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন চাষী হাবিবুর রহমানের

মোঃ ছিদ্দিক মিয়া, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : ড্রাগন একটি আকর্ষনীয় ফল যা ভিয়েতনামায় সর্বপ্রথম এর চাষ হয়।ড্রাগন ফলের গাছ অল্প জায়গায় স্বল্প খরচেই চাষ করা যায় ড্রাগন। সুস্বাদু এ ফলটি বিক্রি করেও বেশ ভালোই লাভ হয়। তাই কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা চান্দঁপুর ইউনিয়নের চান্দঁপুর ব্লকের মন্ডলভোগ গ্রামে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে ড্রাগন ফলের চাষ। ফসলি জমি কিংবা বাড়ির ছাদের টবেও ড্রাগন ফলের গাছ লাগানো যায়।কটিয়াদীতে ২-৩ বছর আগেও ড্রাগন ফল পরিচিত ছিল না। এখন এটি বেশ পরিচিত।

বিভিন্ন ধরনের ভেষজ গুণ থাকায় এ ফলের গাছটি চান্দঁপুর ইউনিয়নে প্রায় বাড়ির আঙিনা ও ছাদে চাষ হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই জৈব সারের সাহায্যে ড্রাগনফল চাষ করা যায়। শুধু একটু পরিচর্যা করলেই ড্রাগন গাছে ফল ধরে। তাই ড্রাগন ফলের চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে এখানকার লোকজন। ড্রাগন ফলের গাছ দেখতে অনেকটা ক্যাকটাসের মতো। ২০১৪ সাল থেকে কটিয়াদীতে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু হয়।ড্রাগন ফল সারা বছর লাগানো যায় তবে উৎকৃষ্ঠ সময় হল জানুয়ারী থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। একটি ড্রাগন গাছ থেকে প্রায় ১০ কেজি ফল পাওয়া যায়।এ ফল দুই ধরনের হয়।লাল আর খয়েরি রং এর।

কটিয়াদী উপজেলা চান্দঁপুর ইউনিয়নের মন্ডলভোগ ব্লকের মন্ডলভোগ গ্রামে ড্রাগন ফল চাষি হাবিবুর রহমান জানান, তিনি তার ৩০ শতাংশ ফসলি জমিতে ৫৮০টি ড্রাগন গাছ লাগিয়েছি পরে আরও ২ বিঘা জমি বাড়িয়েছি। প্রত্যেকটি গাছই এখন ফুলে ফলে ভরা। ইতোমধ্যে তিনি এক মণের বেশি ফল বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি ৬০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি এবং আশা করছি আরও লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করতে পারব। অনান্য ফসলের পাশাপাশি ড্রাগন চাষ অধিক লাভজনক বলে তিনি জানান।

এই বাগানের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বাড়ির আঙ্গিনায় বা জমিতে মাটির মধ্যে জৈব সারের মাটি ফেলে তাতে ড্রাগন চারা পুতে দিলেই হয়। ড্রাগন গাছ তিন ফুট উঁচু হলেই একটি শক্ত চিকন খুঁটির সঙ্গে সাইকেলের পুরাতন টায়ার ঝুঁলিয়ে দিলেই তাতে ডালপালা বিস্তার করে লতানো গাছটি। কয়েক মাস পরে ফুল ফোটে এবং ফল আসে। ড্রাগন ফল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, আমরা ড্রাগন ফল কি চিনতাম না জানতাম না।পরে জানতে পারি কটিয়াদীতে ড্রাগন ফলের চাষ করছে চাষী হাবিবুর রহমান এবং আমরা দেখতে আসি।ফল দেখে বুঝতে পারি এই ফলে প্রচুর ভিটামিন ও পুষ্টি রয়েছে।পাকা ড্রাগন ফল খেতে খুবই সুস্বাধু।সবচেয়ে বেশি উপকারী হল ডায়বেটিস রোগীদের জন্য।আমাদেরও আগ্রহ জেগেছে ড্রাগন ফলের চাষ করতে ও এ রকম একটি বাগান করে কটিয়াদীর সর্বত্র ছড়িয়ে দিব।

কটিয়াদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীর জানান,এ ফল একটি আকর্ষনী ও চমৎকার ফল।যা যেকোন বয়সের লোক বক্ষন করা যায়।বিশেষ করে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।সব ধরনের মাটিতেই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ বেলে-দোঁআশ মাটিই ড্রাগন চাষের জন্য উত্তম।উপজেলা চান্দঁপুর ইউনিয়নে একটি বাগান করা হয়েছে। ৬০০-৭০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হলে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।

 

 

Tags: