muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

আখাউড়ায় পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পীরা

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ।। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। ঘরে ঘরে বাজছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। আখাউড়ায় প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পীরা। সময় যতো ঘনিয়ে আসছে ততোই বাড়ছে মৃৎ শিল্পীদের ব্যস্ততা। ২৬ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী পূজা। তখন প্রতিটি মন্ডপেই বেজে ওঠবে ঢাক-ঢোল আর কাঁসার শব্দ। পাঁচদিনের উৎসব শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে ঘটবে উৎসবের সমাপ্তি।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এ বছর উপজেলায় ১৯ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পৌরশহরে ১০টি এবং উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ৯টি পূজা মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পৌরশহরের রাধানগরের রাধামাধব আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দির, সাহা পাড়া ও দাস পাড়ায় বৃহৎ আয়োজনে পূজার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে পৌরশহরের সাহাপাড়া পূজা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, মৃৎ শিল্পীরা কাদা মাটি দিয়ে প্রতিমার মূল কাঠামো নির্মাণের কাজ শেষ করেছেন। রং তুলির ছোঁয়ায় প্রতিমার রূপ ফুটিয়ে তোলার কাজ করছেন। কেউ আবার প্রতিমার গায়ে কাপড় জড়িয়ে দিচ্ছেন। প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি চলছে মন্দিরে সাজ সজ্জার কাজও ।
কথা হয় মৃৎ শিল্পী দুলাল পালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ৭ জন লোক ৮ দিন ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। তিনি জানান, প্রতিমা তৈরি ও রং করার কাজ শেষ। এখন প্রতিমা সাজানো এবং অলঙ্কার পড়ানো হচ্ছে। এই বছর তিনি ১৫টি মন্দিরে প্রতিমা গড়ার কাজ পেয়েছেন বলে জানান। আক্ষেপ করে দুলাল পাল বলেন, এখন পারিশ্রামিক অনেক কম। বাপ দাদার পেশা বিধায় কষ্ট হলেও এ পেশা ধরে রেখেছেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হীরালাল সাহা বলেন, এ বছর উপজেলায় ১৯টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মন্দিরগুলোতে প্যান্ডেল তৈরিসহ প্রতিমা গড়ার কাজ চলছে। পূজা সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রশাসনের পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবকদের নিয়ে স্বেচ্ছা সেবক টিম গঠন করা হয়েছে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশারফ হোসেন তরফদর বলেন, প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ ও আনসার থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
এই ব্যপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বিঘে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে সকল প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজা মন্দিরে ৫শ কেজি চাল ও আইনমন্ত্রী এড. আনিসুল হকের পক্ষ থেকে ৫হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।

Tags: