muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ফেনসিডিল ও মাদকের উপর অভিযান না চালিয়ে পদে পদে হয়রানি করছে পাসপোর্টযাত্রীদের

এবিএস রনি, শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি।। বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অনিয়ন্ত্রিত ভাবে নিজেদের সীমান্তের চোরাচালানিদের পাহারা শিথিল করে পাসপোর্টযাত্রীদের তল্লাশি করে হয়রানি, নাজেহাল মানসম্মান নিয়ে টানা হ্যাচড়ারর একাধিক অভিযোগ উঠেছে।

সুত্র জানায়, ভারত থেকে আসা ফেরত পাসপোর্টযাত্রীরা নিয়ম অনুযায়ী কাষ্টমস ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কাষ্টমস গেট পার হয়ে আসলে চলে বিজিবির হাক ডাক। জোরে জোরে বিজিবির সিপাহসালারা ডাকে এই ওই এদিকে আসেন এদিকে আসো বিভিন্ন ভাষায় সম্বোধন করে তাদের সাথে ব্যাগ খোলা নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়রানি করে চলছে একের পর এক। রাস্তার উপর দর্শকদের সামনে ব্যাগ খুলে আবার বলে ক্যাম্পে নিয়ে ব্যাগ দেখিয়ে আনুন। অনেক সময় তাদের ভারত থেকে আসা সখের কেনা কাটার কিছু ডিএম হয়। আবার মালামাল রেখে ছেড়ে দেয়।

অপরদিকে ভারতের বিজিনেস ব্যাবসায়িদের ক্যাম্পে নিয়ে এক এক জনের নিকট থেকে কোন স্লিপ না দিয়ে কোন সময় হরলিক্স বিস্কিট সহ অন্যান্য পন্য দুটো তিনটা করে আইটেম রেখে দেয় বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কাস্টমস সুত্র জানায় বন্ডেড এলাকার ৫ কিলোমিটারের ভিতর অন্যান্য সংস্থার পাসপোর্টযাত্রীদের হয়রানি করার কোন নিয়ম নাই। সরকারি গ্যাজেটে ও এরকম নির্দেশনা দেওয়া আছে। ঢাকার পাসপোর্টযাত্রী আলমগীর হোসেন জানান, কাস্টমস থেকে বের হয়ে আসার পর তাকে বিজিবি উল্লাপাল্টা প্রশ্ন করেন। একাধিক বার কেন যাই এসব ব্যবসা ছাড়েন। আলমগীর অভিযোগ করে বলেন আমি একজন ইম্পোর্টার । আমার ভারতে যেতেই হবে ।

তাছাড়া আমার পাসপোর্ট ও বিজিনেস ভিসা । এসব অনেক বিজিবি বোঝে না। কারন অনেক সদস্য লেখা পড়া যানে ও সীমিত। সব মিলিয়ে তাদের কাছে কমপক্ষে পথে তিন চার বার হয়রানি হতে হয়। বিশেষ একটি সুত্র জানায় সীমান্তের পুটখালি দৌলতপুর দিয়ে প্রতিদিনি এক শ্রেনীর প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহযোগিতায় আসছে ফেনসিডিল, মদ, গাজা সহ নানা ধরনের পন্য। সম্প্রতি বেনাপোলের দক্ষিন বারোপোতা থেকে ৬৮৬ বোতল ফেনসিডিল শার্শার বাগডাঙ্গা গ্রাম থেকে ৮০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে একজন মাদক ব্যবসায়ি সহ র‌্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন। র‌্যাব ডিবি সীমান্ত এলাকা থেকে মাঝে মধ্যে ফেনসিডিল গাজা উদ্ধার করলে ও মুল দায়িত্বে থাকা বিজিবির সাফল্য সে তুলনায় অনেক কম। বিজিবি এখন ঘরে বসে পাসপোর্টযাত্রীদের নাজেহালে ব্যাস্ত ।

তা আবার একবার না বেনাপোল চেকপোষ্টে, রেলষ্টেশন, আমড়াখালী ও মাঝে মধ্যে পথের যে কোন জায়গায়। হতাশ হচ্ছে বৈধ পাসপোর্ট যাত্রীরা। তারা অভিযোগ করছে সরকারকে রিতিমত ট্যাক্স দিয়ে আমরা বৈধ পথে ভারত যাই। নিয়ম অনুযায়ী ৪০০ শত ডলারের পন্য ক্রয় করতে পারব। কিন্তু ১০০ ডলারের পন্য আনলে ও বিজিবির কাছে জবাবদিহতা করতে করতে আমাদের মাথার ঘাম পায়ে পড়ে। বিজিবি রিতি মত পথের থেকে চেক করে আবার ক্যাম্পে নিয়ে উকিলের মত জেরা করে। বেনাপোল চেকপোষ্টে দেখা যায় পোশাকধারী বিজিবির সদস্যদের সাথে সিভিলে বিজিবির এফএস সদস্যরা সীমান্তের টহল বাদ দিয়ে পাসপোর্টযাত্রীদের তল্লাশির কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছে।

একাধিক পাসপোর্ট যাত্রীর অভিযোগ তাহলে ৫০ গজ দুরে চেক না করে বিজিবি কাস্টমস এক জায়গায় চেক করলে আমরা হয়রানি থেকে মুক্তি পেতাম। বেনাপোলের পুটখালি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আবুল হোসেনের কাছে সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিল প্রবেশ করছে এ প্রশ্নে তিনি বলেন আমি সকাল সন্ধ্যা ফেনসিডিল সহ অন্যান্য মাদক নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করছি। তারপর বড় সীমান্ত সুযোগ বুঝে চোরাকারবারিরা ঢুকে পড়ে।

 

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/২৫সেপ্টেম্বর২০১৭ইং/নোমান

Tags: