শাহরিয়া হৃদয়, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) ।। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কগুলোতে চলছে বেটারি চালিত অটোরিক্সার ড্রাইভারদের ভাড়া বাড়ানোর আমেজ। যে যার মতো করে হাঁকাচ্ছেন ভাড়া। ইতিমধ্যে ভাড়া হয়েছে দ্বিগুণ । আর কোন পথচারী (যাত্রী) তার প্রতিবাবাদ করলেই চলে ড্রাইভারদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরন। যেনো সাধারন মানুষ জিম্মি তাদের কাছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, পাকুন্দিয়া থেকে হোসেনপুরের দুরত্ব ১০ কিলোমিটার। সেখানে ভাড়া ছিলো ২০ টাকা। আর এখন ভাড়া হয়েছে ৪০ টাকা। জাঙ্গালিয়া বাজার থেকে পাকুন্দিয়া সদর পর্যন্ত ভাড়া ছিলো ১০ টাকা। কিন্তু এখন নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা।
মঠখোলা বাজার থেকে পাকুন্দিয়া পর্যন্ত ভাড়া ছিলো ২০ টাকা। আর এখন ভাড়া হয়েছে ৩০ টাকা। এগারসিন্দুর ইউনিয়নের লাউতলী থেকে মঠখোলা বাজার পর্যন্ত ভাড়া ছিলো ১০ টাকা। কিন্তু এখন ভাড়া হয়েছে ১৫ টাকা। ঠিক এভাবেই পাকুন্দিয়া পৌরসদরের সাথে প্রত্যন্ত ইউনিয়নগুলো থেকে অটোরিক্সায় যাতায়াতে বাড়িয়েছে ভাড়া। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী,অভিভাবক, ব্যাবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।
জাঙ্গালিয়ার এক এনজিও কর্মকর্তা বলেন, আমরা সাধারন এনজিও তে চাকুরী করি। অফিসের কাজে আমাকে প্রতিদিন জাঙ্গালিয়া থেকে ২বার পাকুন্দিয়া আসা যাওয়া করতে হয়। প্রতিদিন ৮০ টাকা যায় যাতায়াত ভাড়াই যা মাসে প্রায় ২৪০০ টাকা।
মঠখোলা কলেজে এক শিক্ষার্থী জানায়, প্রতিদিন লাউতলী থেকে মঠখোলা কলেজে গেলে ৩০ টাকা খরচ হয়। যা মাসে ৯০০ টাকা খরচ হয়।
এই ব্যাপারে কয়েকজন বেটারিচালিত অটোরিক্সার ড্রাইভারদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তারা ” রাস্তার ভাঙ্গা থাকার ” অযোহাত দেখায়। এবং তারা বলে,এই ভাঙ্গা রাস্তা গুলো দিয়ে অটো চালিয়ে প্রতিদিন ই গাড়ি মেরামত করতে হয়। তাই ভাড়াটা ইকটু বেশিই।
সাধারন মানুষের দাবি যেনো,উপজেলা প্রশাসন বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে একটা ব্যাবস্থা গ্রহন করে।