ডেস্ক রিপোর্ট ।। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে আমরা নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু তারপরও ইয়াবা পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা মিয়ানমারের সীমানায় নজরদারি বাড়িয়েছি।
বুধবার জাতীয় সংসদে রুস্তম আলী ফরাজীর এ সংক্রান্ত জরুরি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আনীত মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশের জবাবে একথা বলেন তিনি।
ফরাজী বলেন, ‘আজ দেশ মাদকের আগ্রাসনে জর্জরিত। প্রতিটি শহরে, শহর থেকে গ্রামে, এমনকি বাড়ি বাড়িতেও বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে স্কুল কলেজের ছেলেরা অতি সহজে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে।’ তিনি মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরেন।
এর জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণে অনেক ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বান্দরবানের একটা দূর্গম এলাকায় নজরদারি করতে পারি না। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সীমানা সড়ক করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছে যাতে ইয়াবা না আসে, কিন্তু এখনো সে চুক্তিতে যেতে পারিনি।
টেকনাফে আমরা মৎসজীবীদের বলেছি যাতে তারা নাফ নদীতে চলাচল না করে। পরে আমরা কোস্ট গার্ডকে সতর্ক করেছি। আধুনিক স্পিড বোট ও জাহাজ ব্যবহার করছি। বর্ডার দিয়ে যাতে কোন মাদকদ্রব্য ঢুকতে না পারে সে জন্য তারা নজরদারি বাড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারপরও এর ভয়াবহতা অনেক, এটা এখন একটা সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এখানে ঘুরে দাঁড়াতে হবে জনসাধারণকে। আমরা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলেছি এ বিষয়ে শিক্ষকরা যাতে ছাত্রছাত্রীদের বলেন। আমরা বলে দিয়েছি, মসজিদে খুতবার সময় যেন সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন করা হয়।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। জেলখানাগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছি। মাদক ব্যবসায়ী যারা ধরা পড়েছে তারা জেলখানায় রয়েছে, শাস্তি ভোগ করছে। বর্ডার লাইন সিল করছি। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। তবে সাধারণ জনগণ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, অভিভাবক সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাবা মাকে সচেতন হতে হবে। তা হলে ঐশীর মতো আর কোন সন্তান বাবা মাকে হত্যা করতে পারবে না।’