muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

রায়পুরে গ্রাহকের ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ মহিলা সংস্থা নামের এনজিও লাপাত্তা

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা ।। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা হায়দরগঞ্জ বাজারে গ্রাহকের ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ মহিলা সংস্থা নামের এনজিও লাপাত্তা হয়ে গেছে। যার অন্তরালে ছিলেন বাড়ীর মালিক ইউচুপ মিঝি ও কথিত এনজিও ম্যানেজার মাসুদ আলম, সুপারভাইজার কামাল হোসেন। আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গেলে এমন অভিযোগ করেন স্থানীয় এলাকার ভুক্তভোগী শতাধিক গ্রাহক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হায়দরগঞ্জ বাজারের পূর্বপাশে মিঝি বাড়ীতে ইউচুপ মিঝির দ্বিতল ভবনের নিচতলা পুরোটা ভাড়া দেন দুই বছরের মেয়াদের জন্য বাংলাদেশ মহিলা সংস্থা নামের যাহার (গভঃ রেজি নং- সি-০৫১৫-ঢ-২৪২৬) কে। প্রধান কার্য্যালয় ঃ ৫০, কবি নজরুল ইসলাম রোড, পিরিঙ্গী বাজার, চট্টগ্রাম কে। এ ভবনে তাদের মেয়াদ ২৬ দিন পার হলে গত ২০ নভেম্বর রাতে নিচতলা পুরো ভবনে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় তাহারা। ঘটনা জানা জানি হলে শতাধিক নারী-পুরুষ তাদের আমানত ফেরৎ পাওয়ার লক্ষে ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। প্রতারকদের গ্রেফতার করতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সূত্রে জানা যায়, মহিলা সংস্থা নামের এনজিও, অফিস নিয়ে প্রথমে এলাকার ১০ জন্য অফিস স্টাপ এবং ২০ জন মহিলা পুরুষ মাঠ কর্মী নিয়োগ করেন। প্রত্যেককে একটি করে ঐ এনজিও সংস্থার আইডি প্রদান করেন, প্রত্যেকের কাছ থেকে জামানত বাবত ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা জামানত আদায় করেন। তাদেরকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতনের আশ্বাস দেওয়া হয় মৌখিক ভাবে। শুরু হয় কর্ম তাদের। তারা প্রত্যেকেই ১নং চরআবাবিল ২নং চরবংশী ও ৯নং দক্ষিন চরআবাবিল ইউনিয়ন থেকে সাড়ে তিন শত গ্রাহকের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা লোনের বিনিময় দেখিয়ে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা নগদ গ্রহন করে গ্রাহককে রিসিট প্রদান করেন। সোমবার রাতে তারা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হলে মঙ্গলবার সকালে ঔ ১০ জন মাঠ কর্র্মীর বাড়ীতে গ্রাহকরা হামলা চালায় ও অনেক কর্মীকে মারধর করার অভিযোগও রয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রাহকরা তাদের আমানতের টাকা ফেরৎ না ফেলে ২০ জন মাঠ কর্মী, ১০জন অফিস স্টাপ ও বাড়ীর মালিকের বসত বাড়ীতে যে কোন সময় হামলার ঘটনা ও রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ হতে পারে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা হলেন, মাহমুদা বেগম, জাহাঙ্গীর হোসেন, আমেনা বেগম, কুলসুমা বেগম, হাজেরা বেগম, ফাতেমা বেগম, শাহানাজ বেগম, ছালমা বেগম, নাছরিন আক্তার-সহ সর্বমোট ৩৫০জন প্রতিজনের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এনজিও বিরুদ্ধে।
হায়দরগঞ্জ ফাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভুক্তভোগীরা বিষয়টি আমাদেরকে জানালে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করে সত্যতা পাই, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tags: