অর্জুন রায়, দিনাজপুর প্রতিনিধি।। হাজী মহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও পরিবহন শ্রমিকের সংঘর্ষের ঘটনাটি নিয়ে আজ দিনাজপুর জেলা প্রশাষক মীর খায়রুর আলম এক জরুরী বৈঠকের আহব্বান করেন।
আজকের এই বৈঠকে হাবিপ্রবির বিক্ষুদ্ধ ছাত্র প্রশাষন ও পরিবহন মালিক শ্রমিক তাদের পৃথক পৃথক দাবী তুলে ধরেন। উভয় পক্ষের দাবীর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাষক মীর খায়রুল আলম বলেন ঘটনাটি নিয়ে ৫ সদস্যের একপি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্দের রিপর্ট অনুযায়ী দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তবে তিনি উভয় পক্ষকে অবোরধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
এদিকে হাবিপ্রবির বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও প্রশাষন অবোরধ প্রত্যাহারের কররেনও পরিবহন শ্রমিক অবোরধ প্রত্যাহার করেনি।
আজকের সমঝোতা বৈঠকে পুলিশ সুপার হামিদুল অালম, এডিএম গোলাম রব্বানী,হাবিপ্রবির রেজিষ্টার প্রফেসর ডা. মো শফিউল আলম, ছাত্র পরামর্শক প্রফেসর ডা. মো শাহাদাৎ হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খালেকুজ্জামান, প্রফেসর মিজানুর রহমান, ছাত্র সৌরভ,জাহিদ ও রিয়াদ উপাস্থিত ছিলেন অপরদিকে পরিবহন শ্রমিকের কক্ষ থেকে আজকের সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর মোটর পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি জাহিদ হোসেন, সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম সেলু, দিনাজপুর মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো রফিক ,সাধারন সম্পাদক ফজলে রাব্বী ও শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম।
হাজী মহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক প্রফেসর ডা. শাহাদাৎ হোসেন জানান জনগনের কথা চিন্তা করে ও সাধারন মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পরে সে জন্য তারা তাৎখনিক ভাবে অবোরধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তিনি আরো বলেন এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না ঘটে সেজন্য তিনি জেলা প্রশাষক ও পুলিশ সুপারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।
এদিকে দিনাজপুর মোটর পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি জাহিদ হোসেন বলেন যে দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই দুটি গাড়ির ক্ষতিপূরন না দেওয়া প্রযুন্ত তারা অবোরধ প্রত্যাহার করবে না। এর ফলে আজ দিনাজপুর থেকে কোন বাস, মিনিবাস,কোচ ছেঢ়ে যায়নি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।